ইন্দোনেশিয়া থেকে ৬৩ হাজার টন কয়লা নিয়ে চট্টগ্রামের মহেশখালীতে ভিড়েছে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জাহাজ। পানামার পতাকাবাহী ‘অউসো মারো’ নামের জাহাজটি ২২৯ মিটার দীর্ঘ ও ড্রাফট ১২ দশমিক ৫ মিটার। আজ মঙ্গলবার জাহাজটি মাতারবাড়ী কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রের জেটিতে ভিড়ে। কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য কয়লা নিয়ে আসা প্রথম জাহাজ এটি।
জাহাজটি জেটিতে নোঙরের সময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) কমোডর ফজলর রহমান, ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপটেন ফরিদুল আলম, ক্যাপ্টেন জহির ও মেইন পাইলট ক্যাপ্টেন কামরুল ও কো-পাইলট ক্যাপ্টেন শামস। এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাহাজটি বহির্নোঙরে আসে।
মাতারবাড়ী বিদ্যুৎ প্রকল্পের সহকারী সাইট ম্যানেজার সানসুকি সুজুকি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৬৩ হাজার টন কয়লা নিয়ে মাতারবাড়ী জেটিতে ভিড়েছে জাহাজ।’
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২২৯ মিটার দীর্ঘ ও ১২ দশমিক ৫ মিটার ড্রাফটের জাহাজ মাতারবাড়ীতে ভিড়েছে। এটি বন্দরের ইতিহাসে একটি মাইলফলক।’
তথ্যমতে, চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে এখন সর্বোচ্চ ১০ মিটার ড্রাফট ও ২০০ মিটার দীর্ঘ জাহাজ আনার সুযোগ রয়েছে। পায়রা বন্দরেও চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ভিড়েছে ১০ দশমিক ১০ মিটার গভীরতার জাহাজ।
এ ছাড়া সমুদ্র থেকে ১৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ ও ৩৫০ মিটার চওড়া কৃত্রিম চ্যানেলের মধ্য দিয়ে জাহাজটি জেটিতে আনা হয়। ইতিমধ্যে এ জেটিতে ১১২টি জাহাজ জেটিতে ভিড়লেও সেগুলোতে ছিল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের উপকরণ। কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিপিজিসিবিএল) অধীনে জাপানের তিনটি প্রতিষ্ঠানের একটি কনসোর্টিয়াম বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করছে।