সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুলপুর (কেশবপুর) এলাকায় সীমা অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। এখনো পর্যন্ত এই ঘটনায় ৫ জন নিহত হয়েছেন। দগ্ধ ৩০ জনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনা হয়েছে।
তবে চমেকে আসা মরদেহগুলোর নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে গেছে, আর কোনো কোনো মরদেহের মুখ বিকৃত হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় নিহতদের পরিচয়ও শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
প্ল্যান্টের গাড়িচালক মো. সোলায়মান বিস্ফোরণের সময় গুরুতর আহত হন। সোলায়মানকে যখন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয় মাথা দিয়ে রক্ত ঝরছিল।
সোলায়মানের ছেলে প্ল্যান্টের গাড়ি চালকের সহকারী রাকিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিস্ফোরণের সময় প্ল্যান্টে গাড়ি নিয়ে ঢুকছিলেন আমার বাবা। এ সময় হঠাৎ বিস্ফোরণে তিনি ছিটকে পড়েন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চমেকে আনা হয়েছে।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক নুরুল আলম আশেক বলেন, সীতাকুণ্ডে বিস্ফোরণে নিহত একজনের মরদেহের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে গেছে। ওই ব্যক্তির পরিচয় এখনো জানা যায়নি। তাঁর বয়স আনুমানিক ৫৫।
এর আগে আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কদমরসুলপুর (কেশবপুর) এলাকার ওই অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের কারণ সম্পর্কে কেউ কোনো তথ্য জানাতে পারেননি।