হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

দশকেও চালু হয়নি পাম্প

ওমর ফারুক সুমন, বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি)

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভা সদরে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পটি এক দশকেও আলোর মুখ দেখেনি। এতে পৌর এলাকার ৬০ হাজার মানুষ নিরাপদ পানির সংকটে আছে। ঠিকাদার ও উপজেলা প্রকৌশলীর মতবিরোধে জনগুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পটি থমকে আছে বলে অভিযোগ ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের।

পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের জনসাধারণের বিশুদ্ধ পানির চাহিদার কথা মাথায় রেখে ২০১১ সালে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়। এর ধারাবাহিকতায় ২০১৩ সালে ১৪ সেপ্টেম্বর তৎকালীন পার্বত্যবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও বর্তমানে রাঙামাটি আসনের সাংসদ দীপঙ্কর তালুকদার এর ভিত্তি স্থাপন করেন। ওই বছরেই রাঙামাটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ইউএম ট্রেডার্স কাজ শুরু করে।

প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, জেলা পরিষদের অর্থায়নে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যমপাড়া ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মুসলিম ব্লক বাজার এলাকায় দুটি পাম্প স্থাপনের কাজ শুরু হয়। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা।

প্রকল্প অনুযায়ী, দুটি পাকা ভবন, দুটি গভীর নলকূপ স্থাপন হয়। এ ছাড়া পৌর এলাকার জীবঙ্গছড়া, মুসলিম ব্লক, কাচালং বাজার, মধ্যমপাড়া এলাকায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার জুড়ে মাটির নিচে পাইপলাইন স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়।

তবে ১০ বছরেও বাকি কাজ শেষ না হওয়ায় অনেক মূল্যবান যন্ত্রপাতি, ইলেকট্রিক ট্রান্সফরমার, লোহার পাইপ, নষ্ট হয়ে গেছে। আশপাশে ঘন জঙ্গলে ভুতুড়ে পরিবেশ তৈরি হয়েছে দুটি পাম্প ঘর।

পৌর মেয়ের জাফর আলী খান বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগসহ কিছু কাজ বাকি থাকতেই জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক ও সহকারী ঠিকাদার সঞ্জয় ধরের সঙ্গে বিরোধে থমকে যায় প্রকল্পের কাজ। এর পর ১০ বছরেও আলোর মুখ দেখেনি প্রকল্পটি।

ঠিকাদারের প্রতিনিধি সঞ্জয় ধর বলেন, প্রকল্পটি তিন ধাপে বরাদ্দ বাড়িয়ে ৩ কোটি ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজ চলাকালীন রাঙামাটিতে ভয়াবহ পাহাড়ধস ঘটে। এতে করে সড়ক যোগাযোগ ভেঙে পড়লে মালামাল পরিবহনে সমস্যা হয়। তাই প্রকল্পের নির্ধারিত সময় শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি।

সঞ্জয় ধর অভিযোগ করেন, প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য ২ লাখ টাকা কমিশন দাবি করেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক। ঠিকাদার ৫০ হাজার টাকা সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে পরিশোধ করে। বাকি টাকা দিতে অপারগ হলে আব্দুর রাজ্জাক ফান্ডটি বাজেয়াপ্ত করে মন্ত্রণালয়ে টাকা ফেরত পাঠিয়ে দেন। পরে জেলা পরিষদ ও মন্ত্রণালয়ে বারবার তদবির করেও এখন বিশাল ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে ঘুরছেন। কিন্তু কোনো উপায় খুঁজে পাচ্ছে না বলে দাবি করেন সঞ্জয় ধর।

এদিকে পৌরসভায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দিন দিন তীব্র হচ্ছে। ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাহার উদ্দিন সরকার বলেন, ‘আমাদের দাবি একটাই, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় অতি দ্রুত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে নিরাপদ পানির ব্যবস্থার উদ্যোগ গ্রহণ করবে।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রকৌশলী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন করেন, ‘ঠিকাদারের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা দাবি ও ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয় সঠিক নয়। নিজে সুবিধা নিতেই ঠিকাদার এই অযৌক্তিক কথা বলছে।’ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে থাকলে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখাতে বলেন তিনি।

আব্দুর রাজ্জাক দাবি করেন, ‘দীর্ঘ ৫ বছরেও ৩ জন ঠিকাদার পরিবর্তন করে কাজ শেষ করতে না পারায় আমি সরকারি কোষাগারে ৩৩ লাখ টাকা ফেরত পাঠিয়েছি। এখানে আমার কোনো অবহেলা নেই, থাকলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের রয়েছে।’

প্রকল্পটি পুনরায় চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে অবহিত করেছি। এখন প্রকল্প আবার চালু করা ওনার এখতিয়ার।’ 
তবে বিষয়টি আমার জানা নেই রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য প্রিয় নন্দ চাকমার। তিনি বলেন, ‘আমি খোঁজ নিয়ে পরিষদের আগামী সভায় উত্থাপন করব। চেয়ারম্যানের মাধ্যমে প্রকল্পটি পুনরায় চালুর বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করব।’ 

হেডফোন কানে রেললাইনে যুবক, ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত

ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবি চবির আধিপত্যবাদবিরোধী শিক্ষক ঐক্যের

লক্ষ্মীপুরে বিএনপি নেতার ঘরে আগুন: মামলা হয়নি, নাশকতার ‘বিশ্বাসযোগ্য’ প্রমাণ মেলেনি

কর্ণফুলীতে ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলা, আটক ১০

রাউজানে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে ৩ বসতঘরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ

কুমিল্লায় একাধিক মামলার আসামি শামীম গ্রেপ্তার

চট্টগ্রামে ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা

লক্ষ্মীপুরে মাটি খুঁড়ে মিলল চট্টগ্রামে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র, যুবক গ্রেপ্তার

মিরসরাইয়ে গাড়ির ধাক্কায় ভ্যানচালক নিহত

আনিসুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে হামলা-অগ্নিসংযোগ