দুইটি ব্যাংকের পাওনা ৫৩ কোটি ৫৩ লাখ টাকা আদায়ে বাগদাদ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও তাঁর মায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। একই সঙ্গে পৃথক মামলায় দুজনকে ১০ মাসের দেওয়ানি আটকাদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমান এই আদেশ দেন।
চট্টগ্রামের অর্থঋণ আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার বিবাদীরা হচ্ছেন–বাগদাদ গ্রুপের এমডি মো. ফেরদৌস খান আলমগীর ও তাঁর মা মোছাম্মৎ মনোয়ারা বেগম।
মামলার তথ্যমতে, দুই বিবাদী ব্যবসায় বিনিয়োগের অংশ হিসেবে নগরীর ইপিজেড থানা এলাকার এবি ব্যাংক থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। দীর্ঘদিন খেলাপি থাকার পর দুই বিবাদীর বিরুদ্ধে ২০১০ সালে অর্থঋণ মামলা দায়ের করা হয় ব্যাংকের তরফে। এরপর ২০১৫ সালে করা হয় অর্থঋণ জারি মামলা। মামলার পরিচালনার দীর্ঘ পরিক্রমায় বিবাদীদের কাছে ব্যাংকের পাওনা ৩১ কোটি ৭৯ লাখ ২৪ হাজার ৯৬১ টাকা ৯৪ পয়সা আদায়ে আজ অর্থঋণ আদালতের বিচারক পাঁচ মাসের দেওয়ানি আটকাদেশের পাশাপাশি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
একই আদালতে ব্যাংক এশিয়া, আগ্রাবাদ শাখা থেকে গ্রহণ করা ঋণ আদায়ে দুই বিবাদীর বিরুদ্ধে ২০১০ সালে অর্থঋণ মামলা দায়ের করা হয়। আর অর্থঋণ জারি মামলা দায়ের করা হয় ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর। মামলা পরিচালনার দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় ব্যাংকের পাওনা ২১ কোটি ৭৪ লাখ ৫ হাজার ৫১৭ টাকা ১৩ পয়সা আদায়ে বিবাদীদের পাঁচ মাসের দেওয়ানি আটকাদেশ প্রদান করেন বিচারক। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন আদালত।