ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে চট্টগ্রামে টানা ভারী বৃষ্টিতে নগরীতে তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে জোয়ারের পানিতে বন্দর নগরীর নিম্নাঞ্চলসহ অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। মূল সড়ক, স্কুল–কলেজ, শিল্প কারখানা ও অলিগলি কোমর পানিতে ডুবে আছে। বাসাবাড়িতেও পানি ঢুকে ব্যাপক ভোগান্তি হয়েছে নগরবাসীর।
বেশি দুর্ভোগ হয়েছেন অফিসগামী ও শ্রমজীবী মানুষের। বন্ধের সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না থাকায় নগরীতে অনেক স্কুল-কলেজ খোলা ছিল। এদিকে জলাবদ্ধাতার মধ্যেই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীকে গাড়ি করে অফিস যেতে দেখা যায়।
নগরীর ডিসি রোড, চকবাজার, বহদ্দারহাট, হালিশহর, আগ্রাবাদ, মুরাদপুর, ষোলশহর ২ নম্বর গেট, বাকলিয়া, প্রবর্তক মোড়, বাদুরতলাসহ বিভিন্ন এলাকা কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমর পর্যন্ত পানিতে ডুবে আছে। এতে ছোট তিন চাকার যান চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
এদিকে টানা বৃষ্টিতে নগরীর মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, চাক্তাই, হালিশহর ও আগ্রাবাদ সিডিএসহ বেশ কয়েকটি এলাকা সকাল থেকেই পানিতে টইটম্বুর হয়ে যায়। বড় গাড়িগুলোকে যাতায়াতে বেগ পোহাতে হচ্ছে। সাধারণ মানুষকে উপায় না পেয়ে কোমর পানিতেই নেমে নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
জলাবদ্ধতার ডুবে থাকা নগরীর বাকলিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন খান জানান, ভারী বর্ষণের ফলে নগরীর অধিকাংশ এলাকার মতো বাকলিয়া সরকারি কলেজও ডুবে গেছে। কলেজের নিচতলা ও মাঠ পানিতে নিমজ্জিত।
চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, গতকাল রাত ৯টার দিকে ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ তথা কেন্দ্র উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে। মধ্যরাত নাগাদ কেন্দ্রটি উপকূল অতিক্রম শেষ করে। এরপর ঘূর্ণিঝড়টির নিম্নভাগ উপকূল অতিক্রম শেষ করেছে আজ ভোর নাগাদ। এখন এটা স্থল নিম্নচাপ আকারে বৃষ্টি হয়ে ঝরছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে।
এদিকে টানা বৃষ্টির ফলে নগরীতে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ পরিস্থিতিতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন টিম কাজ করছে জানিয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাকিব হাসান বলেন, নগরীতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় বিভিন্ন টিম কাজ করছে।