ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে দলটির অন্তত ৫০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আজ সোমবার বেলা ১টার দিকে উপজেলা সদরের মুসা মার্কেটের সামনে এ সংঘর্ষ হয়। এ সময় মোটরসাইকেলে আগুন এবং দোকানপাট ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী বুধবার উপজেলা বিএনপির সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে। সম্মেলন ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) আব্দুল খালেক এবং কৃষক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সমর্থকদের মধ্যে আগে থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
আজ বেলা ১টার দিকে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা সদরে পল্লী বিদ্যুৎ মোড় থেকে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. আব্দুল খালেক ও রফিক শিকদারের নেতৃত্বে সম্মেলনবিরোধী একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলে রামদা ও লাঠিসোঁটা নিয়ে নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। পরে মিছিলটি উপজেলার প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা সদরের মুসা মার্কেট এলাকায় পৌঁছালে কৃষক দলের নেতা কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এ সময় বিভিন্ন ভবনের ছাদ থেকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫০ জন নেতা-কর্মী আহত হন। এ সময় চারটি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করার ঘটনা ঘটে। পাশাপাশি ২০-২৫টি দোকানপাটে হামলা-ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ও অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে বিএনপির ওই নেতাদের কল করা হলে তাঁদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলম। তিনি বলেন, উপজেলা বিএনপির সম্মেলনকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।