নোয়াখালী প্রতিনিধি
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের শরণার্থী, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন মানবিক মা হিসেবে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার বিষয়ে তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পরবর্তীতে রোহিঙ্গাদের জীবন বাঁচানোর জন্য ভাসানচরকে সাজানোর জন্য নৌ-বাহিনীকে দায়িত্ব দেন।’
আজ শুক্রবার সকালে চারটি দেশের রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে নোয়াখালীর হাতিয়া ভাসানচর রোহিঙ্গা আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘ভাসানচরে রোহিঙ্গারা ভালো আছে। বাংলাদেশে তাদের ষষ্ঠ বছর চলছে। এখানে তাদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার রয়েছে। নিরাপত্তায় সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছে জাতিসংঘ ও দেশি এনজিও, পুলিশ, এপিবিএন, কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী। চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে রয়েছে ছয়টি হাসপাতাল এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য আছে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল। কক্সবাজার থেকে এখানকার আশ্রয় কেন্দ্রগুলো অনেক ভালো।’
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন-জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপুই, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস, জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডার ক্লাউ ও ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের অফিসার-ইনচার্জ সিমোন পার্চমেন্ট।
বেলা ১১টা থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রতিনিধি দলটি ভাসানচরের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় ভাসানচরের বিভিন্ন ওয়্যার হাউসে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাদের সুযোগ-সুবিধা, জীবনযাত্রার মানসহ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেন তারা। বিকেলে ভাসানচর পরিদর্শন শেষে তাঁরা ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেন তাঁরা।