তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে রাজনৈতিক দল ও দেশি-বিদেশি যারা আমাদের সহযোগী স্টেকহোল্ডার রয়েছে, তাদের পরামর্শ ছাড়া সরকার একা এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’
আজ বুধবার লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব নারায়ণপুর ইসলামিয়া জুনিয়র দাখিল মাদ্রাসা পরিদর্শন শেষে মাহফুজ আলম এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি বাবা–মাসহ স্বজনদের সঙ্গে দেখা করেন এবং দাদা-দাদির কবর জিয়ারত করেন।
মাহফুজ আলম বলেন, ‘জনগণ বারবার বলছে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করতে। আমরা মনে করছি, সরকার সবার সঙ্গে পরামর্শ-পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেবে।’
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুন ২০২৬–এর মধ্যে নির্বাচন দেবেন। এটি হচ্ছে সংস্কার কতটুকু হবে, কীভাবে হবে, তার ওপর নির্ভর করবে।
‘এর ভেতরেই নির্বাচন আমরা সীমিত রাখি। এর বেশি উচ্চাশা সরকারের ভেতরে নেই। আর এটা নিয়ে ধোঁয়াশারও কিছু নেই যে কবে নির্বাচন হবে, নির্বাচন দেবে কি দেবে না। অবশ্যই নির্বাচন হবে।
‘ডিসেম্বর অথবা জুন দুটা টাইমলাইন আছে। এই টাইমলাইনের ভেতরে হয়ে যাবে। এ কথার বাইরে সরকার হয়তো যাবে না। রাজনৈতিক দলগুলো প্রস্তুতি নিক, নির্বাচন হবে।’
তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলম কথা বলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন নিয়েও। তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যম কমিশনে যে পর্যালোচনা রয়েছে, সেটা নিয়ে পর্যালোচনা হবে সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বসে।
‘পরে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে যেটুকু করা সম্ভব, সেটা সংস্কার করে যাব। বিশেষ করে, গণমাধ্যমকর্মীদের বেতন-ভাতার বিষয়টি রয়েছে। এটি সিরিয়াস ইস্যু। এ ছাড়া মালিকানা ইস্যুও রয়েছে। সবগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’
এ সময় তথ্য উপদেষ্টার বাবা ও ইছাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা, জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) সংগঠক হামজা মাহবুব, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লক্ষ্মীপুর জেলা আহ্বায়ক আরমান হোসেন, মুখপাত্র বায়েজীদ হোসেন, মুখ্য সংগঠক সাইফুল ইসলাম মুরাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য উপদেষ্টার বিকেলে স্থানীয় প্রশাসন ও উপজেলার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। এর আগে রামগঞ্জ সরকারি কলেজের মাঠে সামাজিক কর্মসূচিতে অংশ নেন। এ ছাড়া লামচরে মজুপুর গ্রামের বাড়িতে স্থানীয় গণমানুষের সঙ্গে উঠান বৈঠকেও কথা বলেন তিনি।