লামায় প্লাস্টিক বোতলে মিনারেল ওয়াটার বোঝাই একটি কার্গো ট্রাকের চাপায় যাত্রীবাহী বাসের ১৯ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকাল ১০টায় লামা-চকরিয়া সড়কের পশ্চিম লাইনঝিরি স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন-জ্যোৎস্না দে (২০), শুভশ্রী (১০), রূপম চাকমা (২), জহর লাল (৫৫), নুর মোহাম্মদ (২৮), মো. সোহেল (৩২), রাজশ্রী দে (২), আনোয়ার হোসেন (৫০), নুরুল আলম (৩০), হাসনা বালা (৬০), মনু আলম (৩৫), তপন (৩৮), সরওয়ার (২৫), মো. রফিক (৩০), সরওয়ার আলম (৫৫), মো. সাহেদ (৬৫), শিব সংকর (৩৭), জেসি মার্মা (২২) ও আবুল হোসেন (৫৫)।
জানা যায়, বাসটি যাত্রী নিয়ে লামা থেকে চকরিয়ায় এবং কার্গো ট্রাকটি মিনারেল ওয়াটাসহ মালামাল নিয়ে চট্টগ্রাম থেকে লামা বাজারে যাচ্ছিল। এ সময় বাসটি পাহাড়ে ওঠার সময় কার্গো ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটিকে চাপা দেয়। পরে লামা ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় জনতা আহতদের উদ্ধার করে লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। বাসে ৪৯ জন যাত্রী ছিল। আহতদের ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এ দুর্ঘটনার পরপরই কার্গোর ড্রাইভার ও হেলপার পালিয়ে যায়।
বাসের যাত্রী মো. ফারুখ বলেন, আমাদের বাসটি ধীরে ধীরে পাহাড়ে দিকে উঠছিল। বাসটি লামা থেকে চকরিয়া যাচ্ছিল। কিন্তু বিপরীত দিক থেকে আসা মালবাহী কার্গো ট্রাকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমাদের বাসকে চাপা দেয়। পরে বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। গাড়ির একজন যাত্রীও ভালো নেই। সবাই কমবেশি আহত হয়েছেন। আমার মাথা ও হাত কেটে গেছে। আমার মা ও ছোট ভাই আহত। তাঁদের লামা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে
লামা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত ডাক্তার রায়হান জান্নাত বিলকিচ সুলতানা বলেন, দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে মোট ১৯ জন আহত রোগী আসেন। তাঁদের মধ্যে ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ও গুরুতর তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের মধ্যে ৩ জনতে লামা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ও বাকি ৬ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, বাসের ড্রাইভার আনোয়ার হোসেন ও মো. রফিকের প্রাণের আশঙ্কা রয়েছে।
লামা থানা-পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আলমগীর বাস কার্গোর মুখোমুখি সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয়দের সহায়তায় আহতদের চিকিৎসার জন্য দ্রুত লামা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।
লামা ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার মো. আব্দুল্লাহ বলেন, দুর্ঘটনায় এত হতাহত হয়েছে যে আমরা কাকে রেখে কাকে নিব বুঝতে পারছিলাম না। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে লামা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।