ঈদ আসন্ন। জেলায় জেলায় জমে উঠেছে কোরবানির হাট। অথচ সুনামগঞ্জের অনেক বানভাসি মানুষ এখনো ঘরেই ফিরতে পারেননি। অনেকের ঈদ কাটবে আশ্রয়কেন্দ্রে।
গত ১৬ জুন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্লাবিত হয়। পানিবন্দী হয়ে পড়েন উপজেলার চার লক্ষাধিক মানুষ। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেন বহু পরিবার। পাঁচ দিন ধরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও গ্রামীণ রাস্তাঘাটে এখনো হাঁটু পানি। আর হাওরপাড়ের বাড়িগুলোতে কোমরপানি। অধিকাংশ পরিবার বাড়ি ফিরে গেলেও কয়েক হাজার পরিবার এখনো আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে রয়েছেন।
বাড়ি গিয়ে বিধ্বস্ত অবস্থা দেখে অনেকে আবার ফিরে এসেছেন আশ্রয়কেন্দ্রে। তাঁদের বসতবাড়ির আঙিনা প্লাবিত। টিনশেডের কাঁচা ঘরে হাঁটু সমান কাদা। ভেঙে ভেসে গেছে অধিকাংশ ঘরের দেয়াল বা বেড়া। এই বানভাসিদের ঈদ কাটবে আশ্রয়কেন্দ্রেই।
সরেজমিনে জগন্নাথপুর পৌরসভার হাজী আব্দুর রশীদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, টানা বৃষ্টি শেষে চারদিকে ঝলমলে রোদ। বন্যার পানিতে ভিজে যাওয়া কাপড়চোপড় বিদ্যালয়ের ছাদে শুকাতে দিচ্ছেন দুই নারী।
খালেদা বেগম নামের আরেক নারী বলেন, ‘ছোট ছোট ছেলে মেয়ে তো আর এতসব বুঝে না। তাদের তো ঈদের জামা লাগবেই। সে জন্য গত ঈদের জামা রোদে শুকাচ্ছি। এগুলো দিয়েই যদি মানানো যায়!’
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাজেদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ উপজেলায় বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ভেঙে যাওয়া ঘর-বাড়ির তালিকা করেছি। সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত ৪৪০ পরিবারে নগদ ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।’