কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় স্বামীর লাশবাহী গাড়ি থামিয়ে মরদেহের সঙ্গে থাকা স্বজনদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে সাবেক স্ত্রীর লোকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে তিতাস উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের স্লুইসগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মরদেহের সঙ্গে থাকা স্বজনেরা ৯৯৯ জরুরি নম্বরে কল দিলে তিতাস থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা গেছে, পাঁচ বছর আগে জালাল মিয়ার মেয়ে সুখি আক্তারের সঙ্গে সোনাকান্দা গ্রামের এনু মোল্লার একমাত্র ছেলে সাদ্দামের বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে সিহাব মোল্লা (৪) নামে এক ছেলে রয়েছে। তিন মাস আগে তাঁদের মধ্যে ডিভোর্স হয়। সাদ্দাম হোসেন (৩০) ঢাকার ইসলামপুরে থাকতেন।
সাদ্দাম হোসেনের বড় বোন রেখা আক্তার বলেন, ‘সোমবার সকালে খবর পাই সাদ্দাম মারা গেছে। ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে আছে। আমরা হাসপাতাল থেকে লাশ নিয়ে বাড়ি আসার পথে নারায়ণপুর স্লুইসগেট এসে পৌঁছালে সাদ্দামের সাবেক স্ত্রী সুখি আক্তারের বাবা জালাল, ভাই হাবিব, জিলানীসহ আরও কয়েকজন মিলে গাড়ি থামিয়ে আমাদের মারধর করে। আমাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ও স্বর্ণের চেইন নেয়।’
এ ব্যাপারে জালাল মিয়া বলেন, ‘গতকাল খবর পাই সাদ্দাম মারা গেছে। লাশ বাড়িতে আনতেছে। আমি আমার নাতিকে তার বাবার বাবার মুখ শেষবারের মতো দেখানোর জন্য লাশবাহী গাড়িটিকে থামাতে বলেছি। এই নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। পরক্ষণেই তারা আমার বাড়িতে হামলা চালায়।’
তিতাস থানার উপসহকারী পরিদর্শক (এএসআই) হেদায়েত উল্লাহ বলেন, ‘৯৯৯ ফোন পেয়ে ওসি সুধীন চন্দ্র দাসের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি এবং উভয় পক্ষকে যার যার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’
ওসি সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, ‘এ ঘটনায় সাদ্দামের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’