ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদগঞ্জে স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে প্রাক্তন স্বামীর ভাগনের বাড়িতে অনশন বসেছেন সীমা আক্তার (৩৫) নামে এক নারী। আজ বুধবার উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের হাওয়াকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে। এদিকে ৯৯৯-এ কল পেয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে বিষয়টি সুরাহা করার অনুরোধ করেছে পুলিশ।
অনশনরত নারীর বাড়ি উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরমথুরা গ্রামে। অভিযুক্ত যুবক আনোয়ার হোসেন মানিকের বাড়ি (২৭) উপজেলার ১০ নম্বর গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের হাওয়াকান্দি।
অনশনরত সীমা আক্তার বলেন, ‘আনোয়ার হোসেন মানিক আমার সাবেক প্রথম স্বামীর ভাগনে। মানিকের মামা বিল্লাল হোসেনের সাথে আমার ২০০৯ সালে বিয়ে হয়। বিল্লাল হোসেনের সাথে বিয়ের পর মানিক বিভিন্নভাবে কৌশলে আমার ছবি তুলে হয়রানি করতে থাকে। পরে জোরপূর্বক আমাকে সম্পর্ক করতে বাধ্য করে। এই সম্পর্ককে কেন্দ্র করে আমাদের সাত বছরের সংসার ভেঙে যায়। পরে মানিক আমাকে বিয়ে করার কথা থাকলেও সে বিদেশে গিয়ে চার বছরেও ফিরে আসেনি।’
সীমা আক্তার আরও বলেন, ‘তারপর পরিবারের কারণে আমার দ্বিতীয় বিয়ে হয় রামপুর গ্রামের ঢাকার বাসিন্দা এনামুল হকের সাথে। সেখানেও বিভিন্ন কায়দায় মানিক আমার ক্ষতি করা শুরু করে। একপর্যায়ে সে আমার দ্বিতীয় স্বামীর সাথে যোগাযোগ করার কারণে আমার দ্বিতীয় সংসারও ভেঙে যায়। তারপর মানিক বিদেশে থাকা অবস্থায় মোবাইল ফোনে মানিকের সাথে আমার বিয়ে হয়। কিন্তু বিদেশ থেকে এসে এখন সে আমাকে স্ত্রীর অধিকার দিচ্ছে না। বহু অপেক্ষা করেও অধিকার না পাওয়ায় স্ত্রীর অধিকার দাবিতে অনশন করছি।’
এদিকে অনশনকালে আনোয়ার হোসেন মানিক ও তাঁর পরিবারের কেউ বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন না। তাঁরা আগেই ঘর তালাবদ্ধ করে চলে যান। এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন মানিকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এ বিষয়ে ১০ নম্বর গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউপির চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ ভুঁইয়া বলেন, ‘বিষয়টি জেনেছি। স্থানীয় ইউপি সদস্যের সহযোগিতায় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ মণ্ডল বলেন, ‘সীমা আক্তার ৯৯৯-এ কল করেছে। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদকে সুরাহা করার জন্য বলা হয়েছে।’