চাটখিল (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
নোয়াখালীর চাটখিলে ওমানপ্রবাসী এক যুবককে হত্যার অভিযোগে তাঁর স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার ওই গৃহবধূকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার উত্তর রামদেবপুর গ্রামের ঘাসিবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পরে সন্ধ্যার দিকে ওই গৃহবধূকে আটক করে থানার পুলিশ।
নিহতের নাম ইলিয়াছ হোসেন (৩৫)। তিনি উপজেলার পরকোট ইউনিয়নের উত্তর রামদেবপুর গ্রামের ঘাসিবাড়ির মোহাম্মদ উল্লার ছেলে।
গ্রেপ্তার গৃহবধূ হলেন ফাতেমা আক্তার সোনিয়া (২৫)। তিনি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া উপজেলার পশ্চিম পাঠানগড় গ্রামের ভেন্ডারবাড়ির আহসান উল্লার মেয়ে। ইলিয়াছ ও সোনিয়া দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে।
নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাত বছর আগে পারিবারিকভাবে সোনিয়ার সঙ্গে ইলিয়াছের বিয়ে হয়। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ওমান থেকে দেশে আসেন ইলিয়াছ। ছুটি শেষে ঈদের পরে আবার ওমানে চলে যাওয়ার কথা ছিল। স্ত্রীর কারণে ভাইদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ রাখতে পারতেন না ইলিয়াস। গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ে বড় ভাই আব্দুল মতিনকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফেরেন তিনি। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রথমে ইলিয়াছের বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে তাঁদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে সোনিয়া তার স্বামীর অণ্ডকোষ টিপে ধরলে সেখানে অজ্ঞান হয়ে পড়েন ইলিয়াস। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ সন্ধ্যার দিকে গৃহবধূ সোনিয়াকে শ্বশুরবাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমদাদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নিহতের পরিবারের অভিযোগ, স্ত্রী সোনিয়া তাঁর স্বামীকে অণ্ডকোষ চেপে ধরলে সে মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আব্দুল মতিন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করছেন। আজ (শনিবার) সকালে ওই মামলায় আটক গৃহবধূকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।’