খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা
হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাহাড়ি জনপদ খাগড়াছড়ির দীঘিনালা। আজ বৃহস্পতিবার এ উপজেলায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় ফাঁকা গুলি, দোকানপাটসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের পর থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
দীঘিনালার লারমা স্কয়ারে আজ বিকেলে হঠাৎ পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করে। একপর্যায়ে তা সংঘাতে রূপ নেয়। এ সময় অন্তত ৬০টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। উপজেলার লারমা স্কয়ার এলাকায় এই সংঘর্ষ হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গতকাল বুধবার সকালে চুরির অভিযোগে গণপিটুনিতে খাগড়াছড়ি জেলা সদরের নোয়াপাড়া-নিউজিল্যান্ড সড়কে মো. মামুন নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। এর প্রতিবাদে আজ বিকেলে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন দীঘিনালা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে লারমা স্কয়ারে ৬০টি দোকানে বিক্ষুব্ধরা আগুন দেয়।
এ বিষয়ে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশিদ বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও বিজিবি কাজ করছে। আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিস। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান ইউএনও।
জেলা পুলিশ সুপার আরিফিন জুয়েল বলেন, সেখানে পাহাড়ি-বাঙালি উত্তেজনা চলছিল। সেখান থেকেই আজকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং দোকানপাটে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। ঘটনার পর পুলিশ, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছেন।