চট্টগ্রামের আদালতে ইকবাল হোসেন নামের এক ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্টের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছেন চিকিৎসক স্ত্রী। অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশে কর্মরত ট্রাফিক সার্জেন্ট। আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল–৭ এর বিচারক বেগম ফেরদৌস আরা অভিযোগটি গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
ট্রাইব্যুনালের পেশকার কফিল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, আদালত ওই সার্জেন্টের স্ত্রী ডাক্তার সোনিয়া সামাদের বক্তব্য নিয়েছেন। এ ব্যাপারে জেলার মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানার মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে তদন্তের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সার্জেন্ট ইকবাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, `ডাক্তার সোনিয়াকে আমি ১৫ থেকে ২০ দিন আগে তালাক দিয়েছি।' তিনি এ ব্যাপারে আর কিছু বলতে রাজি হননি।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, এ বছর ১১ ফেব্রুয়ারি ইকবালের সঙ্গে তার বিয়ের পর থেকে বাদীকে যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন। বাদীর মা–বাবা ইতালিপ্রবাসী । অভিযুক্তের মানসিক নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে ৬ এপ্রিল যৌতুকের এক লাখ টাকা অভিযুক্তকে বুঝিয়ে দেন। এরপর ঢাকার সাভারে বাদীর পাঁচ তলা বাড়ি, একটি প্রাইভেট কার ইকবালের নামে লিখে দিতে বাদীকে চাপ দেন। বাদী মিরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জে একটি ক্লিনিকে কর্মরত আছেন। গত ২৫ জুলাই বাদীর জোরারগঞ্জের বাসায় এসে অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন যৌতুকের জন্য স্ত্রী সোনিয়াকে করেন।