‘নারায়ে তকবির আল্লাহু আকবর, নারায়ে রিসালত ইয়া রাসুলুল্লাহ’ এই দরুদ লাখো মানুষের কণ্ঠে। জিইসি মোড় থেকে যখন জুলুসের বিশাল র্যালি যাচ্ছিল তখন এ রকম হামদ, নাত, দরুদে মুখরিত হয় জুলুস ও আশপাশের এলাকা। এর মধ্যে দিয়ে জুলুসের বয়স হয় ৫০ বছর।
আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহের নেতৃত্বে ঈদে মিলাদুন্নবীর (স) জশনে জুলুস শুরু হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ (মজিআ)। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সাহেবজাদা আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ কাসেম শাহ (মজিআ)।
আজ রোববার সকালে ষোলোশহরের জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা সংলগ্ন আলমগীর খানকাহ-এ-কাদেরিয়া সৈয়্যদিয়া তৈয়্যবিয়া থেকে জুলুস শুরু হয়।
জুলুসের গাড়িতে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবীরা অংশ নেওয়া মানুষদের জন্য পানি ও খাবারের ব্যবস্থাও করেন। শরবত, চকলেট, খেজুর, জিলাপি, জুস বিতরণ করছেন অনেক স্বেচ্ছাসেবী। জামালখানে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমনকে পানির বোতল বিতরণ করতে দেখা যায়। এর আগে জুলুসে অংশ নিতে ভোর থেকে নবীপ্রেমী মানুষ জড়ো হতে থাকেন ষোলোশহরের জামেয়া মাদ্রাসা মাঠ ও আশপাশের এলাকায়। জুলুসের রোডম্যাপের মোড়ে মোড়ে অপেক্ষা করেন স্বেচ্ছাসেবক ও হুজুর কেবলার ভক্তরা।
জুলুস শেষে দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত হয় মাহফিল। এরপর জোহরের নামাজ শেষে দোয়া ও আখেরি মোনাজাত করা হয়।