তালাকের নোটিশ পেয়ে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে মো. হানিফ মিয়া (২২) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। আজ মঙ্গলবার উপজেলার উজিরপুর ইউনিয়নের আশ্রাফপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
চৌদ্দগ্রাম থানার উপ পরিদর্শক মহিন উদ্দিন এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
হানিফ মিয়া ওই গ্রামের হুমায়ন কবিরের ছেলে এবং মিয়া মিয়ার বাজারের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
হানিফ মিয়া তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন- বিদায় পৃথিবী। কিছু প্রিয় মানুষের দেওয়া কষ্ট আর সহ্য করতে পারছি না। মা বাবার দিকে খেয়াল রাখিস ভাই। তাঁদের যত্ন নিস। আমার মতো তাদের কষ্ট দিছ না।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, হানিফ মিয়া তিন মাস আগে বিয়ে করেন। নববধুর তালাক নোটিশ পেয়ে সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। রাগে ক্ষোভে সে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
হানিফ মিয়ার বাবা হুমায়ন কবির বলেন, তার ছেলে (হানিফ মিয়া) তিন মাস আগে সদর দক্ষিণ উপজেলার উত্তর ধনাইতরী গ্রামের কমলা বেগমকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক কলহ চলে আসছে। কমলা বেগম তার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছেন।
সোমবার কমলা বেগম তাকে তালাক নোটিশ পাঠায়। এতে সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। আজ সন্ধ্যায় কাউকে কিছু না জানিয়ে হানিফ তার ঘরের আড়ার সাথে গলায় কাপড় পেছিয়ে আত্মহত্যা করে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দরজা ভেঙ্গে দেখি হানিফ গলায় কাপড় পেছিয়ে ঝুলে আছে। স্থানীয়দের মাধ্যমে থানা–পুলিশকে খবর দিলে তারা এসে লাশ উদ্ধার করে।’
পুলিশের উপ পরিদর্শক মহিন উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।’