বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসকে হত্যার হুমকির অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাদের বিরুদ্ধে এবার চট্টগ্রামের আদালতে মামলার আবেদন করেছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশন (আইএইচআরসি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি এম এ হাশেম রাজু।
আজ বুধবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাউদ্দিনের আদালতে মামলার আবেদন করেন তিনি।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. ইরফান উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পাশাপাশি মামলার আবেদন আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন।’
মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন বাঁশখালীর চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মুজিবুল হক চৌধুরী, মহেশখালীর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ফরিদুল আলম, চাম্বল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইফতেখার উদ্দিন বাবু, সাজ্জাদ, এহচান, ফরহাদ, নাছির ও সাইফুল।
অন্যদিকে বাদী এম এ হাশেম রাজু হলেন চট্টগ্রাম মহানগরীর চকবাজার থানা এলাকার বাসিন্দা।
এর আগে ১৫ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে একই অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন এম এ হাসেম রাজু। এ সময় আদালত মামলার আবেদন খারিজের আদেশ দেন।
জানতে চাইলে মামলার বাদী এম এ হাশেম রাজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশন (আইএইচআরসি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট। এটা জাতিসংঘের অধীনে। যেহেতু বাংলাদেশে নিযুক্ত একজন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের ওপর হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সরকারের তরফ থেকে এই ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনার কথা বলেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত দুষ্কৃতকারীদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমি মামলা করেছি।’
মামলায় অভিযোগ আনা হয়, ৬ নভেম্বর বাঁশখালীতে এক জনসভায় সব আসামির উপস্থিতিতে ও সহযোগিতায় পিটার হাসকে হুমকি দেন মুজিবুল হক চৌধুরী। তিনি পিটার হাসকে হত্যার হুমকি দেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করেন, যা ৮ নভেম্বর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তাঁদের ওই বক্তব্যের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়া তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়েও অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন।