লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন সজিব নিহতের ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে নিহতের বোন বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় প্রধান আসামি বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী আমির হোসেন খাঁন। তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর আগে দলীয় গঠনতন্ত্র না মানায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদ থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়।
আমির হোসেন খাঁন ছাড়াও আরও ২১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। তবে এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
রামগঞ্জ থানার ওসি মো. আনোয়ার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।’ নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আমির হোসেনকে এ মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ২৮ নভেম্বর তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহেনাজ আক্তার ও বিদ্রোহী প্রার্থী আমির হোসেন খানের সমর্থকদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। আমির হোসেনের সমর্থক মাসুদ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন সজিবের মাথায় আঘাত করেন। এতে গুরুতর আহত হন সজিব হোসেন। ঢাকা নেওয়ার পথে চাঁদপুরে মারা যান তিনি। এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।