নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
বন্ধের দিনেও চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কার্যক্রম চালু থাকবে। চট্টগ্রাম কাস্টমস কমিশনারের পক্ষে ডেপুটি কমিশনার ইমাম গাজ্জালী সই করা এক আদেশে শনিবার অফিস খোলা রেখে দাপ্তরিক কার্যক্রম সচল রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিরতায় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে শুল্কায়ন সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজে স্থবিরতা তৈরি হয়। এ অবস্থায় আমদানি ও রপ্তানিকারকদের সুবিধার্থে ছুটির দিন শনিবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
জানা গেছে, ইন্টারনেট না থাকায় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে শুল্কায়ন, বন্দরের আমদানি-রপ্তানি পণ্যের ডকুমেন্টেশন, পণ্যের ঘোষণা অনুযায়ী ইনস্পেকশন, কন্টেইনার জট কমানো, ডিউটি আদায়সহ সব কার্যক্রম টানা পাঁচ দিন স্থবির ছিল। নিজস্ব নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম সীমিতভাবে সচল রাখা হলেও শুল্কায়ন নথি না পৌঁছায় পণ্য ডেলিভারি ও জাহাজীকরণ কার্যত বন্ধ হয়ে যায়।
এ ছাড়া সংঘাত ও কারফিউর কারণে মহাসড়কে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বন্দর অনেকটাই কাস্টমসের ওপর নির্ভরশীল। কাস্টমস থেকে শুল্কায়নের পর ছাড়পত্র পেলেই শুধু বন্দর থেকে পণ্য বের করার অনুমতি দেওয়া হয়। একইভাবে রপ্তানি পণ্যও শুল্কায়নের পর জাহাজে তোলা হয়। শুল্কায়নের পুরো কাজটি করে থাকে কাস্টম।
চট্টগ্রাম কাস্টমসে নিয়মিত কাজ করেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধি মো. আবদুল মোমিন জানান, বন্ধের দিন কাস্টমস খোলা থাকায় কন্টেইনার জট কমবে এবং কয়েক দিনের যে ক্ষতি হয়েছে তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে আসবে।