ঘনকুয়াশা ও নাব্যতা সংকটে লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধের প্রায় ৭ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক হয়েছে। কুয়াশা কেটে গেলে আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চলাচল স্বাভাবিক হয়। ফেরি বন্ধ থাকায় নদীর দুই পাড়ে বাসের যাত্রী ও চালকদের দুর্ভোগে পড়তে হয়।
ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার বিষয় আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন লক্ষ্মীপুরে মজুচৌধুরীহাট ফেরিঘাটের কর্মকর্তা মো. আতিকুজ্জামান ও ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটের কর্মকর্তা মো. কাউছার। তাঁরা জানান, ঘনকুয়াশায় দুর্ঘটনা এড়াতেই গতকাল শনিবার রাত ৩টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়। এ ছাড়া নব্যতা সংকট তো রয়েছে। কাটাখালী চ্যানেলে কুসুমকলী, সুফিয়া কামাল ও কাবেরী নামে তিনটি ফেরিও আটকা পড়ে। নদীতে জোয়ার এলে ওই তিনটি ফেরি ঘাটের উদ্দেশ্যেই রওনা হয়। এ ছাড়া কুয়াশা কেটে গেলে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফেরি চলাচল শুরু হয়। বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে ফেরি চলাচল।
ভোলাগামী যাত্রী মো. নুরুল আলম ও ট্রাক চালক আবুল হোসেন বলেন, গতকাল রাত ২টা থেকে ঘাটে বসে আছি। ঘনকুয়াশার কারণে ফেরি চলছে না। ফলে তীব্র শীতে ঘাটে থাকা অনেক কষ্টের। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফেরি চলাচল শুরু হলে ভোলার উদ্দেশ্যেই রওনা দিই। কিন্তু নাব্যতা সংকটের কারণে মেঘনার বিভিন্ন স্থানে চর জেগে ওঠায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়। ফলে চরে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকা থাকতে হয়। জেগে ওঠা চরে ড্রেজিং না করলেও আরও দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হবে।
গত চার দিন ধরে তীব্র শীতে লক্ষ্মীপুরে দুর্ভোগ বেড়েছে জনজীবনে। তাঁর সঙ্গে কনকনে হিমেল ঠান্ডা বাতাসে কাবু হয়ে পড়েছে জেলার সাধারণ মানুষজন। তীব্র শীতের কারণে সবচেয়ে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও ছিন্নমূল মানুষকে।
ইতিমধ্যে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে এতিমখানা, মাদ্রাসা, হাট-বাজারসহ শ্রমজীবীদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। গতকাল শনিবার গভীররাতে শহরের উত্তর তেমুহানী ও দক্ষিণ তেমুহানীসহ বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র (কম্বল) বিতরণ করা হয়। এসব বস্ত্র বিতরণ করেন জামায়াত ইসলামের ঢাকা উত্তরের সেক্রেটারি ও সাবেক ছাত্র-শিবিরের সভাপতি রেজাউল করিম। এ সময় শহর জামায়াতের আমির আবুল ফারাহ নিশান ও নায়েবে আমির জহিরুল ইসলামসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।