কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লায় নাঙ্গলকোটে প্রতারণার মাধ্যমে মায়ের কাছ থেকে শিশু চুরির অপরাধে এক নারীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।
আজ সোমবার বিকেলে কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল এবং মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন।
মামলার বিশেষ পিপি প্রদীপ কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেন। চুরি হওয়া শিশু আব্দুল্লাহ নাঙ্গলকোট উপজেলার পরিকোট (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের মো. নূরুল আমিনের ছেলে।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খুকুমণি (২৭) হলেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ছাতিয়ানি গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি সকালে শিশু আব্দুল্লার মা তানিয়া বেগম বাড়িতে ছিলেন। এ সময় খুকিমণি বোরকা পরে তানিয়া বেগমকে বলেন, ‘শিশুদের সরকার ভাতা দিচ্ছে। আপনার শিশুকে ভাতার কার্ড করে দিব। এ জন্য নতুন ছবি লাগবে।’ এ কথা বলে শিশু ও মাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাঙ্গড্ডা বাজারে পালকি ডিজিটাল স্টুডিওতে নিয়ে যান। এ সময় খুকুমণির ছবি তোলার জন্য কোলে নিয়ে কৌশলে শিশুটিকে নিয়ে পালিয়ে যান।
পরে ওই নারীকে খোঁজাখুজি করেও শিশুটিকে না পেয়ে পরদিন শিশুটির চাচা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় শিশু চুরির অভিযোগে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ছাতিয়ানী গ্রামের ফটিক মিয়ার মেয়ে খুকুমণিকে গ্রেপ্তার করে।
মামলার বিশেষ পিপি প্রদীপ কুমার দত্ত আজকের পত্রিকাকে বলেন, এ মামলার ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় খুকুমণিকে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেন আদালত।