স্ত্রী হাঁটতে পারেন না, তাই ঝোড়ো হাওয়াসহ দুর্যোগের মুখে দাঁড়িয়েও নিজেদের টিনের চাল ও পলিথিনে মোড়ানো বাড়ি থেকে বের হয়নি মোহাম্মদ আলীর পরিবার। এদিকে ঝোড়ো হাওয়ায় উড়ে গেছে ঘরের চাল, ছিঁড়ে গেছে পলিথিন। আজ রোববার দুপুরে কথা হয় টেকনাফের মহেশখালীর সমুদ্র উপকূলের বাসিন্দা মোহাম্মদ আলীর সঙ্গে।
মোহাম্মদ আলী আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁর স্ত্রী অসুস্থ। হাঁটতে পারেন না। এখান থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার এখন কোনো উপায় নেই। ঝড়ে যেভাবে গাছ ভেঙে পড়ছে, তাতে সুস্থ মানুষেরই রাস্তা দিয়ে যেতে অসুবিধা হচ্ছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার অগ্রভাগ এখন তাণ্ডব চালাচ্ছে টেকনাফ উপজেলার উপকূলবর্তী অঞ্চলগুলোতে। দুপুর ১২টার পর থেকেই বাড়তে থাকে বাতাসে বৃষ্টির মাত্রা। ১টার মধ্যেই শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি।
কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভেঙে পড়েছে রাস্তার দুপাশে থাকা গাছ। উপকূলীয় অঞ্চলে অনেকের টিনের চাল, পলিথিন দিয়ে তৈরি ঘরবাড়ি বাতাসের তোড়ে উড়ে গেছে। তবে এখনো অনেক মানুষই বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে যায়নি। তারা বলছে, বাতাসের গতি বাড়লে তারা আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে যাবে, এর আগে নয়।
তবে আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজনের উপস্থিতি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়টির দপ্তরি মোহাম্মদ বিলাল। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন মানুষ ভয় পাচ্ছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রে আসা শুরু করেছে। তবে অনেকেই এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে আসেনি।’
গতকাল রাতে যারা আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়েছিল, তারা ঝড়-বৃষ্টি না থাকায় সকালে বাড়িতে ফিরে গেছে। আজ দুপুরের পরে ঝড়ের আধিক্য বাড়তে থাকায় তারা আবার আশ্রয়কেন্দ্রে ফিরতে শুরু করেছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে সাগরে। বাতাসের গতিবেগ ১৬৯ থেকে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ কামরুজ্জামান গতকাল জানিয়েছিলেন, এখন পর্যন্ত ২৫ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: