ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের নদ্দাপাড়ায় জমি থেকে শিশু সাইমনের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। ৯ বছরের ছেলেকে গলা কেটে হত্যার পর মরদেহ জমিতে ফেলে যান তার বাবা বাদল মিয়া (৩০)। আজ রোববার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার সাদতের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বাদল।
পরে আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন। সুহিলপুর ইউনিয়নের নদ্দাপাড়ার বাসিন্দা তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার সাদতের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি বর্ণনা দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার জানান, হত্যাকাণ্ডের পারিপার্শ্বিক অবস্থা অনুযায়ী নিহত শিশুর বাবা বাদল মিয়াকে পুলিশের সন্দেহ হয়। শনিবার রাতে তাঁকে আমরা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করি। প্রথমে সে টালবাহানা করলেও পরে হত্যার কথা স্বীকার করে। এই ঘটনায় বাদলের স্ত্রী মিলি বেগম বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
বাদলের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ার আরও জানান জানান , ২০১২ সালে বাদলের সঙ্গে মিলির বিয়ে হয়। তাদের সংসারে সাইমন (৯), আইমান (৬) ও নাইম (৪) নামের তিন ছেলে রয়েছে। তবে বাদল মিয়া ভাবতেন তাঁর স্ত্রীর পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে। আর সেই সম্পর্কের জেরে জন্ম হয় সাইমনের। এদিকে আইমান ও নাঈমকে সাইমন প্রায় সময়ই মারধর করেন। এই নিয়ে বাদল মিয়ার ভেতরে ক্ষোভ বিরাজ করছিল।
এই পুলিশ পরিদর্শক জানান, সর্বশেষ গত এক সপ্তাহ আগে সাইমন মারধর করে আইমান ও নাঈমকে। এরপরই বাদল মিয়া সিদ্ধান্ত নেন স্ত্রীর ‘জারজ’ সন্তান সাইমন তার নিজের দুই ছেলেকে মারধর করে, তাই সাইমনকে সে মেরে ফেলবে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শনিবার সকালে সাইমনকে ঘাস কাটার কথা বলে জমিতে নিয়ে যায় বাদল মিয়া। সেখানে কাঁচি দিয়ে সাইমনের গলা কেটে হত্যা করে বাদল মিয়া।