Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভয়ে রোয়াংছড়ির গ্রাম জনশূন্য

থানচি (বান্দরবান) প্রতিনিধি

বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভয়ে রোয়াংছড়ির গ্রাম জনশূন্য

বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে বিছিন্নতাবাদী দুইটি সংগঠনের গোলাগুলিতে আটজন নিহতের ঘটনায় রুমা রোয়াংছড়ি সড়কের খামতাং প্রাংসা পাড়া ও তার আশপাশের এলাকার থমথমে বিরাজ করছে। গতকাল রুমা-রোয়াংছড়ি সড়কের খামতাম প্রাংসা পাড়া এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। আজ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রোয়াংছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নান। 

এদিকে বিছিন্নবাদী সংগঠন কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক (সংস্কার) দুই গ্রুপে গোলাগুলির আতঙ্কে খামতাংপ্রাংসা পাড়া থেকে পালিয়ে আসা ৬৭ পরিবারের ৪৫টি পরিবারের ১৭৪ জন সদস্য আশ্রয় নিয়েছেন উপজেলা সদরে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয় কেন্দ্রে। তাদের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনীতে রাখা হয়েছে। বাকি ২২ পরিবার রুমা উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। 

আশ্রয় কেন্দ্রের অবস্থানরতদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খামতাংপ্রাংসা পাড়া রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। এটি রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা। গতকাল সন্ধ্যার দিকে সেখানে সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর পাড়ার বেশির ভাগ বাসিন্দা রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় এসে আশ্রয় নেন। 

খামতাম প্রাংসা পাড়া এলাকা থেকে আতঙ্কিত হয়ে পালিয়ে আসা রোয়াংছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমি ভবনের আশ্রয় নিয়েছেন ১৭৪ জন, রুমা উপজেলায় আশ্রয় নিয়েছেন আরও ২২টি পরিবার। পালিয়ে আসা সবাই খিয়াং জনগোষ্ঠী। 

পালিয়ে আসা খামতাম প্রাংসা পাড়া বাসিন্দা অলিপার খিয়াং, শৈহ্লাপ্রু খিয়াং, অংশৈ খিয়াংসহ কয়েজন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গতকাল রাতে ও সকালে গোলাগুলি ঘটনা ঘটেছে। গুলি শব্দ শুনে আমরা ভয়ে পালিয়ে এসেছি। কোন পক্ষে সঙ্গে গোলাগুলি ঘটেছে সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। 

বান্দরবান সেনা জোনের কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন ফাহিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে খামতাংপ্রাংসা পাড়া এলাকায় সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়ে চলছে। তাদের এই উৎপাত কার্যক্রম কারণের গ্রামবাসীরা সহ্য করতে না পেরে রোয়াংছড়ি ক্যাম্পে পালিয়ে এসেছে।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনী ও বেসামরিক বাহিনী সহযোগিতায় পালিয়ে আসা গ্রামবাসীদের জন্য আশ্রয় ও খাবার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। ওই এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়ার পর্যন্ত তাদের নিরাপদে রাখব এবং পরিস্থিতি ঠান্ডা হলে তাদের ওই এলাকার হস্তান্তর করা হবে।’ 

বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দু’পক্ষে গোলাগুলি সংঘর্ষ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আটজনের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। কী কারণে গোলাগুলি সূত্রপাত ঘটেছে সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি।’ নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে এসপি বলেন, ‘এলাকাটি দুর্গম ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ তাই রাতে আমাদের পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে যেতে পারেনি। আজ সকালে রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মান্নানের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে গিয়ে আটজন গুলিবিদ্ধ পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সংগঠকের মরদেহ উদ্ধার করে বান্দরবান মর্গে আনা হয়েছে।’ তদন্তের আগে তাৎক্ষণিকভাবে কোন কোন সংগঠনের মধ্যে গোলাগুলি হয়েছে বলতে পারব না বলেও স্বীকার করেন এই কর্মকর্তা। 

মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের খোঁজে পেলে পরিবারে পক্ষে যদি মামলা না করে তাহলে সরকারের পক্ষ হয়ে আমরা মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।

ভরা মৌসুমেও আমদানি, কৃষকের মাথায় হাত

উপদেষ্টার প্রতিশ্রুত দুই দিন শেষ, কাটেনি তেলের সংকট

সাতকানিয়ায় নিহত জামায়াত কর্মীর লাশের পাশে ব্রাজিলের তৈরি অত্যাধুনিক পিস্তল

চট্টগ্রামে ওয়াসার পানিতে লবণাক্ততায় ক্যাবের উদ্বেগ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতি: দুই মামলায় দুজন কারাগারে

কমলনগরে স্ত্রীর যৌতুক মামলায় কৃষি কর্মকর্তা কারাগারে

শিকার শেষে জবাই ৭০০ পাখি, তিনজন গ্রেপ্তার

কুমিল্লায় গোমতী নদীর মাটি কাটার অপরাধে ৭ ট্রাক জব্দ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হোমনা উপজেলা ও পৌর কমিটি গঠন

রাউজানে অস্ত্রসহ দুই ব্যক্তি গ্রেপ্তার