‘অতিসত্বর রামগড় স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু হবে। সীমান্ত জটিলতায় স্থলবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণে বিএসএফ থেকে যে বাধা প্রদান করা হয়েছিল—সেটি এখন আর নেই।’
আজ শনিবার রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান।
বিজিবি মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘ভারত আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু দেশ। সব সময় আমাদের পাশে থাকে। রামগড় স্থলবন্দর চালু হলে বিজিবি সহযোগিতা দিতে সর্বদা প্রস্তুত।’
এর আগে শনিবার দুপুরে বিজিবি মহাপরিচালক নাজমুল হাসান রামগড় স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন। বিজিবির বিভিন্ন ইউনিটের অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিদর্শনের অংশ হিসেবে রামগড় ব্যাটালিয়ন সদর, বিজিবি স্মৃতিস্তম্ভ, রামগড় বিশেষ ক্যাম্প ও মহামুনি বিওপি পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি রামগড় জোন সদরে সালাম গ্রহণ এবং বৃক্ষরোপণ করেন।
আভিযানিক কার্যক্রম পরিদর্শনের পাশাপাশি সৈনিকদের সঙ্গে কুশল বিনিময় এবং বিভিন্ন দিকনির্দেশনা প্রদান করেন তিনি। এ ছাড়া পরিদর্শনকালে বিজিবি মহাপরিচালক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন ও পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধির লক্ষ্যে রামগড়ে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সেতুর কাছে প্রতিপক্ষ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের উদয় সেক্টরের ডিআইজি শেখর গুপ্তা এবং অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিবি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন ও প্রশিক্ষণ), চট্টগ্রাম রিজিয়নে ডেপুটি রিজিয়ন কমান্ডার, গুইমারা সেক্টর কমান্ডার, সদর দপ্তর বিজিবির পরিচালক (পরিকল্পনা), চট্টগ্রাম রিজিয়নের পরিচালক (অপারেশন) এবং রামগড় ব্যাটালিয়নের (৪৩ বিজিবি) অধিনায়কসহ অন্য কর্মকর্তারা।