নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্তের ৩৪ পিলার দিয়ে ফের ৫টি মর্টারশেলের বিকট আওয়াজ প্রকম্পিত হয়েছে ঘুমধুমের তমব্রু বাজারসহ পুরো এলাকা। পতাকা বৈঠকের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের স্বস্তি আসলেও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আবারও আতঙ্কে পড়েছেন তারা।
আজ সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ। গোলাগুলির পর সে সত্যটাই এখন সীমান্তের মানুষের মনে রেখাপাত করল পুনরায়।
চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ বলেন, ‘পতাকা বৈঠকে শেষ হলো রোববার ৩টায়। তারা দুঃখ প্রকাশ করল। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই সোমবার বেলা ১২টার পর ৫টি মর্টারশেলের গুলির আওয়াজে কাঁপল আমাদের এলাকা। এ যেন স্বপ্নভঙ্গ।’
এর আগে রোববার দুপুরে পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মিয়ানমার নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর গোলা নিক্ষেপ, প্রাণহানি ও অবৈধভাবে দেশটির হেলিকপ্টার উড্ডয়নের ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এ ছাড়া ভবিষ্যতে ব্যত্যয় না ঘটার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে তারা।
তুমব্রুর ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে আসা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলম জানান, এ বৈঠকের পরে সীমান্ত জনপদের মানুষের মাঝে আশার আলো সঞ্চার হয়। তাঁরা ভেবেছিলেন গোলাগুলি এবং মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ আর হয়তো আসবে না এ দেশে। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই সোমবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে একটি, ১২ টা ৫৫ মিনিটে আরেকটি,১টা ৩০ মিনিটে একটিসহ মোট ৫টি মর্টারশেল বিস্ফোরণের বিকট আওয়াজ কেপে ওঠে তুমব্রু রাইট ক্যাম্প। এতে সীমান্তের তুমব্রু বাজারসহ ৫ গ্রাম প্রকম্পিত হয় বলে জানান তিনি।
এই ইউপি সদস্য আরও জানান, বিস্ফোরণের আওয়াজে তিনিসহ এলাকার সবাই ভয় পেয়েছেন। সবাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
তমব্রু বাজারের ব্যবসায়ী মো. সরোয়ার জানান, সীমান্ত পিলার ৩৯ নম্বরের মাঝখানে দিয়ে বিস্ফোরণের বিকট শব্দ গোল এসেছে বলে ধারণা করছেন তিনি।
এদিকে বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, সীমান্তে পাহারারত বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষীরা টহলে আছেন।