কেটলির গরম পানি ছুড়ে এক চা দোকানিকে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলমের বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার রাতে এই ঘটনা ঘটে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভাইস চেয়ারম্যান।
আহত ব্যক্তি হলেন কচুয়া বিশ্বরোড এলাকায় চায়ের দোকানি মোহাম্মদ মুকবুল খান (৫০)। তাঁর বাড়ি কচুয়া পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড কোয়া গ্রামে।
চা দোকানির শরীর ঝলসে যাওয়ার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেন হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক কামরুন নাহার। তিনি বলেন, ‘মুকবুলের শরীরের পিঠ ও দুই হাতের খানিকটা ঝলসে গেছে।’
স্থানীয় লোকজন জানান, ঘটনার পর স্থানীয় কয়েকজন মুকবুলকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু ভাইস চেয়ারম্যানের ভাই কচুয়া পৌরসভার ৩ নম্বর কোয়া গ্রামের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন বিভিন্ন হুমকি দিয়ে হাসপাতাল থেকে তাঁকে বের করে দেন। পরে অবস্থার অবনতি দেখে পরিবারের লোকজন মুকবুলকে পার্শ্ববর্তী হাজীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চা দোকানি মকবুল খান জানান, শুক্রবার রাতে দুই ব্যক্তির কাছে সিগারেট বিক্রি করার পর ভাইস চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলম গিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে দোকানের কেটলির গরম পানি ছুড়ে মারেন।
ঘটনার বিবরণ তুলে ধরে মুকবুল খান বলেন, ‘শুক্রবার রাতে ভাইস চেয়ারম্যানের কথা বলে ৩৩০ টাকায় এক ব্যক্তি একটি প্যাকেট সিগারেট কিনে নেন। পরে আরেকজন আরেকটি প্যাকেট কিনতে এসে ৩৫০ টাকা দেন। ২০ টাকা বেশি রাখায় ক্ষিপ্ত হয়ে ছুটে আসেন ভাইস চেয়ারম্যান। পরে তিনি চায়ের কেটলিতে থাকা গরম পানি ছুড়ে মারেন।’
অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে কচুয়া উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত নই। কয়েকজন যুবকের সঙ্গে দোকানির হট্টগোল হয়। ওইসময় কেটলির পানি ছিটকে গিয়ে তিনি আহত হন। আমি পাশের দোকানে ছিলাম।’
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কচুয়া থানায় গিয়ে আইনি সহায়তা নেবেন বলে জানান মুকবুল খান ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।