জুরাছড়ি (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
রাঙামাটির জুরাছড়িতে টানা চার দিনের ভারী বর্ষণে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তলিয়ে গেছে ২০২ হেক্টর ফসলি জমি। ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছে পানি। এতে সাময়িক বন্ধ রয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম।
আজ সোমবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জুরাছড়ি ইউনিয়নের লুলাংছড়ি, সাপছড়ি, সীতারামপাড়া, মিতিংগাছড়ি, ডেবাছড়া কুসুমছড়ি, বালুখালী, মধ্যভিটা, শীলছড়ি, ঘিলাতলী বনযোগীছড়া ইউনিয়নে বহেরাছড়ি, ধামাইপাড়া, ছোট পানছড়ি, বেকাবেক্যা, শুকনাছড়ি, চুমাচুমি মৈদং ইউনিয়নের পানছড়ি, ভুয়াতলী, জামের ছড়ি, হাজাছড়ি, বারাবান্যা দুমদুম ইউনিয়নে ডানেতেছড়ি, বস্তিপাড়া, বরকলক, করইদিয়া, চাম্পাইপাড়া, গবছড়ি প্লাবিত হয়েছে।
প্লাবিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্ব স্ব ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপির) চেয়ারম্যানরা।
দুমদুম্যা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাধন কুমার চাকমা বলেন, আউশের খেতসহ পাহাড় ভাঙার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া প্রাথমিকভাবে ১০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে।
মৈদং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাধনা নন্দ চাকমা জানান, পাহাড়ি ঢল নামায় নিম্নাঞ্চলে বসবাসকারীদের আতঙ্কে থাকতে হচ্ছে। এ ছাড়া পাড়া ধসের আশঙ্কায় বেড়েই চলছে।
এই শিক্ষা কর্মকর্তা আরও বলেন, বন্যার প্রবল আশঙ্কা এলাকায় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোহাম্মদ মাহফুজ আহমেদ সরকার বলেন, আউশ, আমন ও শাকসবজির খেতসহ ২০২ হেক্টর জমি প্লাবিত হওয়ার প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। ক্ষয়ক্ষতি আরও বাড়তে পারে।