কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় গত বৃহস্পতিবার কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিতে ২২টি খুঁটি ভেঙে ১০ হাজার পরিবার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফের কালবৈশাখী আঘাত হানে গতকাল রোববার সকালে। এতে উপজেলা সদরসহ বেশ কিছু অঞ্চলে গাছ ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়। ওই ঝড়ের ৩০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ সরবরাহ।
গতকাল রোববার ভোরে ঝড় ও বৃষ্টিতে উপজেলা পরিষদসংলগ্ন বটগাছ ভেঙে পড়ে। এতে বৈদ্যুতিক তারের ক্ষতি হয় এবং উপজেলা পরিষদের সামনের রাস্তায় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা গাছ সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, সোমবার ভোরে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখীর তাণ্ডবে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের ৩টি খুঁটি ভেঙে গেছে। এ ছাড়া গতকাল রোববার সন্ধ্যায় আবারও কালবৈশাখী বয়ে যায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। রোববারের কালবৈশাখীতে আবারও বেশ কিছু এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে। এর আগে উপজেলার মালাপাড়া, অলুয়া, চন্ডিপুর, রামনগর, মনোহরপুর, পূর্ব চন্ডিপুর, ছাতিয়ানী, গোপালনগর, দুলালপুর, বালিনা, মহালক্ষীপাড়া ও শিদলাইসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকার প্রায় দশ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন ছিল।
ওইসব এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করতে না করতেই আবার গতকাল রোববার সকাল ও সন্ধ্যায় দুবার কালবৈশাখী আঘাত হানে। উপজেলায় বর্তমানে ১০-১২ হাজার পরিবার বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে।
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর ব্রাহ্মণপাড়া জোনাল অফিসের এজিএম আজহারুল ইসলাম আবীর বলেন, ‘একটি বড় ঝড়ের তিন দিনের মধ্যে আবারও গতকাল (রোববার) আরেকটি বড় ঝড়ের কবলে পড়ে উপজেলার মানুষ। এতে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারপরেও আমাদের কর্মীরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে। আশা করছি নতুন কোনো দুর্যোগে না পড়লে অনতিবিলম্বে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।’