চট্টগ্রামে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে আটক হওয়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উপকর কর্মকর্তা আলী আকবরকে চার বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। আজ রোববার চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুনসী আব্দুল মজিদ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার টেগুটা গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে। তিনি চসিকের রাজস্ব সার্কেল-২-এর উপকর কর্মকর্তা ছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুদকের মামলার আসামি আলী আকবরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধি ১৬১ ধারায় তাঁকে দুই বছর ছয় মাসের কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে ১৯৪৭ সালে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় তাঁকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তিন মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। রায়ের পর আদালত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
আদালতে আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনায় ছিলেন অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম চৌধুরী ও মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম।
অ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এর আগে আসামি জামিনে ছিলেন। পরে তাঁর জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামিকে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়েছিল।’
মামলার এজাহারে জানা যায়, হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ ও মালিকানার নাম পরিবর্তনের জন্য এক বাড়ির মালিকের কাছে ৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন আলী আকবর। এ ঘটনায় বাড়ির মালিক দুদক বরাবর অভিযোগ করলে ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দুদকের একটি দল চসিক কার্যালয় থেকে ঘুষের ২০ হাজার টাকাসহ হাতেনাতে আটক করেন আলী আকবরকে। এ ঘটনায় পরদিন ৭ ফেব্রুয়ারি দণ্ডবিধির ১৬১ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় মামলা করেন দুদক চট্টগ্রাম-২-এর সাবেক সহকারী পরিচালক জাফর আহমদ। ২০১৭ সালের ৩১ অক্টোবর আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদক। এই মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।