সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে থেকে প্রতারক এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৯৬০টি ইয়াবাও জব্দ করা হয়।
আজ শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে র্যাব। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সীতাকুণ্ড পৌর সদরের প্রেমতলা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার দুজন হলেন সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মধ্যম মাহামুদাবাদ এলাকার বাসিন্দা মমতাজ বেগম (৪৪) ও তাঁর স্বামী মুজিবুর রহমান (৪৬)।
র্যাব জানান, মমতাজ নিজেকে এনএসআই চট্টগ্রামের উপপরিচালক পরিচয় দিয়ে মনজুর আলম নামে এক যুবককে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখান। এ জন্য তিনি ওই যুবকের কাছে ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। ওই যুবক তাঁর ভগ্নিপতি, মামা, বন্ধুসহ তিনজনকে মমতাজ বেগমের কাছে চাকরির জন্য নিয়ে যান এবং ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর তাঁকে ৩৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা দেন। কিন্তু তাঁদের চাকরি দিতে না পারায় তাঁরা মমতাজ বেগম ও তাঁর স্বামীর কাছে গিয়ে টাকা ফেরত চান। মমতাজ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন তিনি এনএসআইয়ের কোনো কর্মকর্তা নন।
র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. শরীফ উল আলম জানান, তাঁরা দুজনই এনএসআইয়ের পরিচয় দিতেন। চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়ার পরেই এনএসআই সদস্যদের সহায়তায় পৌর সদরের প্রেমতলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ প্রতারক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা সাধারণ মানুষকে প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে আসছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। তাঁরা এভাবে কয়েক কোটি টাকা হাতিয়েছেন।
সীতাকুণ্ড থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজীব পোদ্দার জানান, র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ওই প্রতারক দম্পতির মধ্যে মমতাজ বেগমের কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাসাইনমেন্ট কর্মকর্তা পরিচয়সহ শতাধিক পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে। র্যাবের দায়ের করা প্রতারণা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই দম্পতিকে আজ দুপুরে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।