বান্দরবান প্রতিনিধি
টানা বর্ষণে রাস্তার ওপর পাহাড় ধসে পড়ে বান্দরবানের সঙ্গে থানচি ও বন্যায় প্লাবিত হওয়ার কারণে আলীকদম উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টির পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে নাইক্ষ্যংছড়িতে দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দী রয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবান-থানচি সড়কের নীলগিরি পর্যটনকেন্দ্রের কাছে জীবননগর এলাকায় পাহাড়ের বড় একটি অংশ সড়কের ওপর ধসে পড়ে বান্দরবানের সঙ্গে থানচি উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এদিকে পাহাড়ি ঢলে মাতামুহুরি নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আলীকদম-লামা-ফাঁসিয়াখালী সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে আলীকদমের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বান্দরবান-থানচি সড়কের জীবন নগর এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ার পর সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে রাস্তা থেকে ধসে পড়া মাটি সরানোর কাজ করছে। তবে উভয় দিক থেকে ছেড়ে আসা পরিবহন আটকা পড়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীসহ স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে বান্দরবান ফায়ার সার্ভিস এর সহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দি বলেন, ঘটনাস্থলে এসে সেনাবাহিনীর সহায়তা মাটি অপসারণের কাজ করছি। দ্রুত মাটি সরিয়ে থানচির সঙ্গে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হবে।
আলীকদম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন বলেন, পাহাড় ধসে এ পর্যন্ত দুটি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সড়ক প্লাবিত হওয়ায় বান্দরবানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, টানা বর্ষণের কারণে ইউনিয়নের অনেক স্থান প্লাবিত হয়েছে। এতে দুই শ পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি অনেক স্থানে পাহাড় ধসে রাস্তাঘাটে যান চলাচল বন্ধ হয়ে আছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবান জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার পক্ষ থেকে মাইকিং করে প্রচার চালানো হয়েছে। বান্দরবানে আগামী ৭২ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকায় পাহাড় ধসের আশঙ্কায় স্থানীয়দের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে।