নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নাগরিক সমাজের নেতারা বলেছেন, ‘সিআরবি রক্ষায় কেবল চট্টগ্রামবাসী নয়, সারা দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। টানা ১১ মাস ধরে নাগরিক সমাজ–চট্টগ্রামের পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষ সিআরবি ধ্বংসের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে শামিল। বিশ্বের বিভিন্ন শহরেও চট্টগ্রামের ফুসফুস–সিআরবি রক্ষার দাবি উঠেছে। সিআরবি রক্ষায় সুস্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত এই অহিংস প্রতিবাদ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে নাগরিক সমাজ।
শুক্রবার বিকেলে সিআরবি চত্বরে নাগরিক সমাজ–চট্টগ্রাম আয়োজিত ধারাবাহিক প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা বলেন, ‘রেলওয়ের কতিপয় দুর্নীতিবাজ আর হাতেগোনা কুচক্রী ব্যতীত সমগ্র চট্টগ্রামবাসী সিআরবি রক্ষার দাবিতে সোচ্চার। এরই মধ্যে প্রতিবাদীদের কাতারে শামিল হয়েছেন মন্ত্রী, এমপি, মেয়রসহ বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিরা। আছেন সকল শ্রেণির সাংস্কৃতিক ও সুশীল সমাজ। সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত সিআরবি রক্ষার চলমান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। তা যত দীর্ঘই হোক।’
সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মহসীন কাজী, জাসদ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল, হোমিওপ্যাথি বোর্ডের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদস্য ডা. একেএম ফজলুল হক সিদ্দিকী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল মান্নান, প্রভাষক মিনু মিত্র, সংগীত শিল্পী নারায়ণ দাশ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাজ্জাদ হোসেন জাফর প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মোরশেদ আলম।