চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে ছয়টি ই-গেট উদ্বোধন করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। শুধু এখানেই নয়, স্থলবন্দরগুলোতেও ই-গেট স্থাপন করা হবে। আগামী দিনে বাংলাদেশের ই-ভিসাও চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার রাতে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ই-গেট উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের আগে কথা দিয়েছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ করবেন। তিনি তাঁর কথা রেখেছেন। এই সেক্টরটা তিনি সম্পূর্ণ ডিজিটাল করার পদক্ষেপ নিয়েছেন।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশ তাঁর নাগরিকদের জন্য ই-গেট ও ই-পাসপোর্ট এনেছে। আমি মনে করি, ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, ‘ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন’ শীর্ষক প্রকল্প এবং পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের সদস্যদের নিরলস পরিশ্রম ও আন্তরিকতার কারণেই এ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এর ফলশ্রুতিতে ইমিগ্রেশন সেবাপ্রত্যাশী সব বাংলাদেশি নাগরিক এর সুফল ভোগ করবেন।’
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট ব্যবহার করে ই-গেট দিয়ে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে বিমানযাত্রীদের সর্বোচ্চ ৩০ সেকেন্ড সময় লাগবে। সাধারণত ইমিগ্রেশন পার হওয়ার সময় যাত্রীদের একটি সময় ব্যয় করতে হয়। ই-পাসপোর্টে ই-ভিসা থাকলে ওই যাত্রীকে এখন থেকে ইমিগ্রেশন অফিসারের মুখোমুখি হতে হবে না। ই-গেট ব্যবহার করে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সহায়তায় যাত্রীর সব তথ্য যাচাই করে তাৎক্ষণিক ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করতে পারবেন। ই-গেটের প্রবেশপথে ই-পাসপোর্টে প্রথম পৃষ্ঠা যেখানে ছবি, অন্যান্য তথ্য ও বারকোড রয়েছে, সেই পৃষ্ঠাটি স্ক্যান করলে প্রথম ধাপ শেষ হবে। ক্যামেরাযুক্ত ফেসিয়াল রিকগনিশনের মাধ্যমে পাসপোর্টের ছবির সঙ্গে যাত্রীর তাৎক্ষণিক পাওয়া মুখমণ্ডল মিলে গেলে দ্বিতীয় গেটও খুলে যাবে। তবে সাধারণ পাসপোর্টধারীরা এই সুবিধা পাবেন না। শুধু ই-পাসপোর্টধারী যাত্রীরাই ই-গেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।