নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা নোয়াখালীর প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। সেই সঙ্গে নেতাকর্মীদের গাবের লাঠি তৈরি করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, এবার খেলা জমে উঠবে!
মেয়র আবদুল কাদের মির্জা প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারার প্রতিবাদে রংমালা মাদ্রাসায় আজ রোববার সকালে আয়োজিত সমাবেশে এমন হুমকি দেন। বসুরহাট পৌরসভা মিলনায়তনে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
আওয়ামী লীগের জেলা কমিটি বিলুপ্তি ও নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনের খবরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে নোয়াখালী। এ নিয়ে বিভক্ত জেলা আওয়ামী লীগ মুখোমুখি অবস্থানে। এরই মধ্যে সোমবার সারা দিন মাইজদীতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। এ কারণেই ক্ষুব্ধ কাদের মির্জা।
প্রতিবাদ সমাবেশে কাদের মির্জা এসপি, ইউএনও, অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং প্রতিপক্ষের নেতাদের একটি বিশেষ প্রাণীর সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ১৪৪ ধারা দিয়ে দুর্নীতিবাজ অপশক্তিকে রক্ষা করা যাবে না। টাকা খেয়ে ইউএনও ও শিক্ষা অফিসার আমার দলের নেতা ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুলকে রংমালা দারুস সুন্নাহ মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতির পদ থেকে বাদ দিয়ে অবৈধ অ্যাডহক কমিটি করেছে।
তাঁদের উদ্দেশে কাদের মির্জা বলেন, হলাই যাইবার দরজা তোয়াই হাইতি নয়, অনও সময় আছে, ইঅনতুন ছলি যা (এরা নোয়াখালী এবং কোম্পানীগঞ্জ থেকে পালিয়ে যাওয়ার দরজা খুঁজে পাবে না, এখনও সময় আছে এখান থেকে চলে যাও)।
কাদের মির্জা তাঁর বড়ভাই সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে বলেন, তাঁর লজ্জাশরম বলতে কিছুই নেই, মেরুদণ্ডহীন প্রাণী, ডোন্ট মাইন্ড ফ্যামিলির ছেলে, ওবায়দুল কাদের অপরাজনীতির হোতাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন।
তিনি বলেন, আজ (রোববার) বিকেলে হয়ত নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ঘোষণা হতে পারে। কমিটি ঘোষণার পর তাদের (কমিটির সদস্য) নগ্ন ইতিহাস আপনাদেরকে বলবো। অপশক্তির বিরুদ্ধে আমার যে আন্দোলন চলছে, এদের পরাজয়, পরিণতি অত্যাসন্ন।
কাদের মির্জা বলেন, দলীয় নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপনাদের নেতা সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দায়িত্ব দিয়েছেন নোয়াখালী জেলা কমিটি করার বিষয়ে। কমিটি হয়ে গেছে, আহ্বায়ক কমিটি, আহ্বায়ক মেরুদণ্ডহীন সেলিম, আর দু’জনকে যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয়েছে, কাকে করেছে জানি না। আমি কোথাও কোনো কমিটিতে থাকবো না। মন্ত্রীর (ওবায়দুল কাদের) দুর্নীতিবাজ স্ত্রীর পরামর্শে এসব করা হচ্ছে। এমপি একরাম, নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র সোহেল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনের গভীর প্রেম চলছে। এদের কেউ কেউ আমার সঙ্গে মুনাফেকি করেছে, সব খন্দকার মোশতাকের লোক। এরাই সেতুমন্ত্রীর স্ত্রীর জন্য স্বর্ণ, টাকা, মাছ, দই আরও কত কিছু উপঢৌকন পাঠায়, এ জন্যই এরা নেতা। যাই ইচ্ছা তাই করুক, আমরা এদের মানি না।