বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলিতে এক বাংলাদেশি তরুণ ও এক রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন।
উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকার ভাজাবনিয়া চিতারকুমে শূন্যরেখার পাশে গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত বাংলাদেশি তরুণ জাহাঙ্গীর আলম (১৯) তুমব্রুর উলুবুনিয়াপাড়ার নুরুল কবিরের ছেলে। তিনি বর্তমানে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অপর আহত ব্যক্তির নাম মো. হাসান (২৮)। তিনি রোহিঙ্গা নাগরিক বলে জানিয়েছেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম। হাসান তুমব্রুর ভাজাবনিয়া এলাকায় এক বাংলাদেশি নারীকে বিয়ে করে সংসার করছেন। পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে আছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, জাহাঙ্গীর ও হাসান পণ্য চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত আছে। ধারণা করা হচ্ছে, রাতে কাঁটাতার অতিক্রম করে পণ্য আনা-নেওয়ার সময় সীমান্তের ওপার থেকে আরকান আর্মির সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি করেন। আরাকান আর্মির সদস্যরা হয়তো দুজনকে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্য ভেবেছিলেন। এতে জাহাঙ্গীর বাঁ পায়ের দুই স্থানে গুলিবিদ্ধ ও হাসান পিটে আঘাত পান।
এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসরুরুল হক বলেন, আরকান আর্মির গুলিতে একজন বাংলাদেশি ও একজন রোহিঙ্গা আহত হয়েছেন বলে তিনি জেনেছেন। আহত বাংলাদেশি জাহাঙ্গীরকে প্রথমে উখিয়ার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। রোহিঙ্গা ব্যক্তি এলাকায় আত্মগোপনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে কী কারণে তাঁদের গুলি করা হয়েছে তা স্পষ্ট জানা যায়নি বলে জানান এই কর্মকর্তা।