রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদীতে নমুনা ডিম ছাড়লেও এখনো পুরোদমে ডিম ছাড়েনি মা মাছ। গত কয়েক দিন সকালের বজ্রসহ বৃষ্টি এবং সোমবার শুরু হওয়া পূর্ণিমার তিথি বা জোতে ডিম ছাড়ার আশা করছেন ডিম আহরণকারীরা।
২০-২৬ মে পর্যন্ত পূর্ণিমার জোতে বজ্রবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট পরিবেশে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন হালদা বিশেষজ্ঞরা। একই ধারণায় প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন হালদা নদীর রাউজান ও হাটহাজারী অংশের শত শত ডিম আহরণকারী।
এদিকে নষ্ট হওয়া সিসি ক্যামেরা মেরামতসহ হালদা মনিটরিং কার্যক্রমের মাধ্যমে হালদার নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে নৌপুলিশ কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন।
তবে অন্যান্য বছরের তুলনায় হালদা সুরক্ষায় প্রশাসন, মৎস্য বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের তৎপরতা কম বলে মনে করছেন প্রবীণ ডিম সংগ্রহকারী কামাল উদ্দিন সওদাগর।
তিনি বলেন, কদিন বজ্র ও বৃষ্টি হয়েছে। বজ্রবৃষ্টি অব্যাহত থাকলে পূর্ণিমার জো’র বুধ থেকে শুক্রবারের মধ্যে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে। তবে অমাবস্যার জোতে ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে তিনটি জো চলে গেছে। আরও একটি জো অর্থাৎ চতুর্থ জো শুরু হবে। পানির গুণগত মান ও পরিবেশ ঠিক আছে, এখন বজ্রসহ বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের অপেক্ষা। পূর্ণিমার এ জো’তে না ছাড়লে অপেক্ষা করতে হবে জুন মাসের ৩-৮ তারিখের অমাবস্যা ও ২০-২৪ তারিখের পূর্ণিমার জোঁ পর্যন্ত।
উল্লেখ্য, গত ৭ মে প্রথম দফায় হালদায় নমুনা ডিম ছেড়েছিল মা মাছ। প্রায় ১ হাজার ৬৬০ কেজি ডিম সংগ্রহ করেছিলেন ডিম আহরণকারীরা। রাউজান ও হাটহাজারী অংশের ৩০০-৩৫০টি নৌকা ও বাঁশের ভেলায় বসে জাল ফেলে কার্প-জাতীয় মা মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহ করেন পাঁচ শতাধিক ডিম আহরণকারী।