Ajker Patrika
হোম > সারা দেশ > চট্টগ্রাম

ব্রাহ্মণপাড়ায় বোরোর বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক, বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আশা

ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণপাড়ায় বোরোর বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক, বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার আশা
জমিতে বীজতলা বানিয়ে আগাম বোরো চাষে নেমে পড়েছেন কৃষকেরা। উপজেলার দুলালপুর দক্ষিণপাড়া এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া। আধা পাকা আউশ ধান ও আবাদ হওয়া রোপা আমনের খেত ভেসে যায়। ফলে এখনো অনেক জমি পড়ে আছে। কিছু জমিতে বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় দেরিতে চাষ করা হয় আমন। সেগুলো এখনো পরিপক্ব হয়নি। আউশ ও আমনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পড়ে থাকা জমিতে বীজতলা বানিয়ে আগাম বোরো চাষে নেমেছেন কৃষকেরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে আগাম বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা। কেউ ট্রাক্টর দিয়ে, কেউ কোদাল, কেউবা আবার লাঙল দিয়ে মাটি তৈরি করছেন। অনেকেই আবার বীজতলায় সেচ দিচ্ছেন, মই দিয়ে সমান করছেন মাটি। কৃষানিরা ধানবীজ এনে কৃষকের হাতে তুলে দিচ্ছেন, কৃষক জমিতে বীজ ছিটিয়ে দিচ্ছেন।

এ বছর বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে সর্বোচ্চ পরিমাণ জমিতে বোরো চাষের প্রস্তুতি নিচ্ছেন কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর ৮ হাজার ৫৮০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের জন্য ৪০৬ হেক্টর জমিতে বোরোর বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৮০ হেক্টর জমিতে বীজ বপন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ হেক্টর জমি উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের পরামর্শে আদর্শ বীজতলা করা হয়েছে। চলতি বছর ৩০০ হেক্টর জমিতে আদর্শ বীজতলা তৈরির আশাবাদ রয়েছে কৃষি কার্যালয়ের।

কৃষকেরা জানান, আগে বীজ বপন করতে পারলে ধানের চারা সতেজ ও সুন্দর হয়। আগাম বীজতলার চারা রোপণ করলে ধানের ফলন ভালো হয়।

উপজেলার দুলালপুর গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন জানান, তিনি এবার তিন বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষের প্রস্তুতি নিয়েছেন। এখন বীজতলা তৈরি করছেন। দুই দিন পর বীজতলায় বীজ বপন করবেন।

একই গ্রামের কৃষক শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমার জমিতে হাইব্রিড জাতের বোরো ধান চাষাবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এই লক্ষ্যে বীজতলা তৈরি করছি।’

শানু মিয়া বলেন, ‘আমি এবার কৃষি প্রণোদনা হিসেবে বোরো বীজ ও সার পেয়েছি। এখন বীজতলা তৈরি করে এসব বীজ ছিটাচ্ছি।’

ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘আমি দুই বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষাবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কৃষি অফিস থেকে পাওয়া ধানবীজ বীজতলায় বপন করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বীজতলা থেকে ভালো চারা পাওয়ার আশা করছি।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা বলেন, চলতি বছর বন্যার কারণে কৃষকেরা ক্ষতির সম্মুখীন হন। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে উপজেলা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কৃষকদের বিনা মূল্যে বীজ ও সার সহায়তা দেওয়া হয়েছে। ৬ হাজার ৫০০ কৃষককে উচ্চ ফলনশীল জাতের উফসি ধান বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে এবং ১ হাজার ৪০০ কৃষককে হাইব্রিড জাতের ধান বীজ দেওয়া হয়েছে।

মাসুদ রানা আরও বলেন, ‘উপজেলা কৃষি কার্যালয় ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ প্রদানসহ মাঠপর্যায়ে কাজ করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আশা করছি কৃষকেরা বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারবেন।’

আশুগঞ্জ সার কারখানায় ফের বন্ধ ইউরিয়া উৎপাদন

লক্ষ্মীপুরে তারাবি পড়া অবস্থায় স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

সীতাকুণ্ডে জেলেপাড়ায় আগুন, ২০ লাখ টাকার জালসহ পুড়ল ৮ দোকান

বাঁশখালীতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে অটোরিকশাচালক নিহত

কসবা সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত, ২২ ঘণ্টা পর লাশ হস্তান্তর

ছেলের সাফল্যে বাবার নেতৃত্বে আনন্দ মিছিল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী সেতু গ্রেপ্তার

ছাত্রদলের ৯ সদস্যের কমিটিতে ৭ জনই নারী

নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে ভিডিপি সদস্য আহত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাকাতের হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু