বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা চট্টগ্রামে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর গায়েবানা জানাজা পড়েছেন। এরপর তাঁর প্রতীকী কফিন নিয়ে টানাটানি করেন।
আজ শনিবার বেলা ৩টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা। এ সময় শিক্ষার্থীরা তাঁকে নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
শিক্ষার্থীরা এ সময় আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করারও দাবি জানান। একই সঙ্গে গতকাল গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবি জানান।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন মাদ্রাসাশিক্ষক ওসমান গণি। তিনি বলেন, ‘আমি আন্দোলনে গুলি খেয়েছি। অনেক ছাত্র আহত হয়েছেন, শহীদ হয়েছেন। এত এত রক্ত ঝরেছে। এখন আবারও আওয়ামী লীগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এটা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। আমরা প্রয়োজনে আবার মাঠে নামব, আন্দোলন করব, গুলি খাব, শহীদ হব। আর কোনো ফ্যাসিবাদকে ফিরে আসতে দেওয়া হবে না।’
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রাসেল আহম্মেদ বলেন, ‘এই যে সারা দেশে আওয়ামী লীগ ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে, সেসব অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার কারণে। এই সরকারের আইন উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাদের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তারা নীরব ভূমিকা পালন করছে। ছয় মাসেও তারা কিছু করতে পারেনি। দৃশ্যমান কোনো বিচারিক অগ্রগতি নেই। কেন আমরা জীবন দিলাম। কেন স্বৈরাচার বিদায় করলাম।’