নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান) প্রতিনিধি
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের পুঁতে রাখা স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক যুবকের ডান পায়ের গোড়ালি বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বিস্ফোরণে আহত আরও একজনকে কুতুপালং হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তের ৩৩/৩৪ নম্বর পিলারের মধ্যবর্তী স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর আজিজ। তিনি বলেন, ‘সীমান্তে মাইন বিস্ফোরণে দুজন আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।’
পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া যুবকের নাম নবী হোসেন প্রকাশ সোনা মিয়া (২০)। তিনি তুমব্রু ২ নম্বর ওয়ার্ডের ফকিরা ঘোনা হাবিবুর রহমানের ছেলে। অপর আহত মোহাম্মদ তাহের (২৮) একই গ্রামের হাসপাতাল পাড়ার মৃত আবুল হোছেনের ছেলে।
আহতদের স্বজনেরা জানিয়েছেন, আহতদের উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সোনা মিয়ার অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকেরা। অপরজনকে সেখানে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা জানান, আহতেরা সীমান্তে চোরাই পণ্য আনা-নেওয়া করতে গিয়ে এ ঘটনার কবলে পড়েন। তারা সেখানে ৮ জন ছিলেন। তাঁদের মধ্যে দুজন আহত হন। এই পয়েন্টটি চোরাকারবারি জোন হিসেবে পরিচিত। যেখানে একজন মেম্বার জড়িত। যিনি দীর্ঘদিন এ কাজের গডফাদার হিসেবে কাজ করে আসছেন।
এ বিষয়ে ঘুমধুম পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের ইনচার্জ মাহফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে দুজন বাংলাদেশি স্থলমাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়েছে স্থানীয়রা।’