মাটিরাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের চক্রপাড়ায় ধলিয়া নদীর ভাঙনে কয়েকটি পরিবার ঘরবাড়ি হারানোর পথে। কেউ কেউ আগে থেকেই ঘর ছেড়ে স্থানান্তর হয়ে গেছে। কারও ঘর ছেড়ে যাওয়ার কোনো ঠিকানা নেই।
গতকাল বুধবার সকাল থেকে অতিবৃষ্টির ফলে হঠাৎ করেই ভাঙতে শুরু করে ধলিয়া নদীর পাড়। এতে নদীর পার্শ্ববর্তী ঘরগুলো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এরই মধ্যে, নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে কয়েকটি ঘর। পাশাপাশি রাস্তা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ রয়েছে ভাঙনের ঝুঁকিতে।
সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে মো. আব্দুর রহিম জানান, গত বছর ধলিয়া নদীর পাড় ভাঙনে আমার ঘর নিয়ে যায়। পরে জীবন বাঁচাতে ঘর ছেড়ে অন্যথায় স্থানান্তর হয়েছি। পাড় ভাঙনে আমার পাকা ঘর নদীতে চলে যায়।
মরিয়ম আক্তার জানান, সকালের বৃষ্টিতে ধলিয়া নদীর পানির স্রোতে আমার ঘরের সামনের অংশ ভেঙে গেছে। কিছুক্ষণ পরপর পাড় ভেঙে পড়ছে। জীবন বাঁচাতে ঘর ছেড়ে বোনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।
অন্যদিকে আব্দুল জলিল বলেন, এরই মধ্যে আমার ঘর হেলে পড়েছে। যেকোনো সময় নদীতে মিশে যেতে পারে। তাই ঘরের আসবাবপত্র সরিয়ে প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছি।
মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হেদায়েত উল্লাহ বলেন, অতিবর্ষণ, পাহাড় ধস, নদী ভাঙন অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগ জনিত অন্য কোন কারণে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে হলে উপজেলা প্রশাসনকে জানালে সহায়তা করা হবে।