চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে চার শতাধিক যাত্রীবাহী লঞ্চের ইঞ্জিনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। পরে দ্রুত লঞ্চটি তীরে ভেড়ানো হলে তাড়াহুড়ো করে নামতে গিয়ে আহত হয়েছেন অন্তত আটজন। তাঁদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে নৌ-পুলিশ।
আজ শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে মাঝের চর এলাকায় মেঘনা নদীতে কর্ণফুলী-৩ নামের একটি লঞ্চে এ ঘটনা ঘটে। লঞ্চটি চার শতাধিক যাত্রী নিয়ে ভোলা থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
এ বিষয়ে হাইমচর নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরে লঞ্চটি পাড়ে ভিড়িয়ে দেয়। লঞ্চে চার শতাধিক যাত্রী ছিল। নৌ-পুলিশ ও স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘কর্ণফুলী লঞ্চ কোম্পানির আরেকটি লঞ্চে ইতিমধ্যে প্রায় অর্ধেক যাত্রী উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকি যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছানো হবে।’
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আগুন লাগার পর লঞ্চটি দ্রুত চরে ভিড়িয়ে দেওয়া হয়। কর্ণফুলী-৩-এর যাত্রীদের কর্ণফুলী-৪ লঞ্চের মাধ্যমে ঢাকায় নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। কর্ণফুলী-৪ লঞ্চের মাস্টার মোবারক হোসেন আমাকে ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসসহ আমাদের তদন্ত টিম ঘটনাস্থলে কাজ করছে। কীভাবে লঞ্চে আগুন লেগেছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে বলা যাবে।’
এদিকে ঘটনা জানতে পেরে নৌ-পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেছেন।