কক্সবাজার প্রতিনিধি
যুবলীগ কর্মী বাবাকে না পেয়ে কক্সবাজারের টেকনাফে অস্ত্র মামলায় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো সেই স্কুলছাত্রকে (১৪) জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে স্কুলছাত্রের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে আদালত আসামির বয়স ও চলমান বার্ষিক পরীক্ষার সময়সূচি বিবেচনায় নিয়ে জামিন আদেশ মঞ্জুর করেন।
আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩-এর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মোহাম্মদ ইউনুছ এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগী হ্নীলা ইউনিয়নের দরগাহপাড়া স্থানীয় বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র এবং হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার ও উপজেলা যুবলীগের কর্মী রেজাউল করিমের ছেলে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ভোরে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দরগাহপাড়া থেকে ওই কিশোরকে আটক করে পুলিশ। পরদিন (শুক্রবার) পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে টেকনাফ থানার ওসির নেতৃত্বে হ্নীলার দরগাহপাড়া এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নুরুল আমিনের বাড়ির সামনে রাস্তা থেকে দুজন পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।
এ সময় আটক করা হয় ওই কিশোরকে। তার ডান হাতে থাকা একটি নীল রঙের শপিং ব্যাগের ভেতর থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, ৬টি গুলি, ৪০টি নীল রঙের কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। পরে অস্ত্র আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে ওই শিক্ষার্থীকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। পরিবার ও প্রতিবেশীদের অভিযোগ, বাবা রেজাউল করিমকে ঘরে না পেয়ে ভোরে তাঁর ছেলেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ।
বাবা রেজাউল করিম জানান, মূলত রাজনৈতিক এবং নির্বাচন নিয়ে একটি পক্ষ পরিকল্পিতভাবে তাঁকে ফাঁসাতে না পেরে তাঁর ছেলেকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়েছে।
এই নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর গতকাল বুধবার সকালে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে একটি রিট করেন।
হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই দিন বিকেলের মধ্যে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেন এবং রিটটি রোববারের কার্যতালিকায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।