কুমিল্লায় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের কর্মসূচিতে ধাওয়া দিয়েছে মহানগর যুবলীগ। এ সময় দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে নগরীর রানীর বাজার সড়কে এ ঘটনা ঘটে। এতে ঐক্য পরিষদের অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর রানীর বাজারে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ। বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ বিক্ষোভের আয়োজন করা হয়।
মুন্সিগঞ্জের মেয়র ফয়সাল বিপ্লব কর্তৃক প্রকাশ্য সমাবেশে স্থানীয় এমপি মৃণাল কান্তি দাসকে ‘মালাউন’ বলে সাম্প্রদায়িক গালিগালাজ, কুমিল্লার সদর সংসদ সদস্য বাহাউদ্দিন বাহার কর্তৃক শারদীয় দুর্গাপূজাকে কটাক্ষ করা, কুড়িগ্রামে চারণ কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলা এবং বিভিন্ন জায়গায় মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের প্রতিবাদ এবং শারদীয় দুর্গাপূজায় ছুটি তিন দিন করার দাবিতে বাংলাদেশ যুব ঐক্য পরিষদ ও বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
অন্যদিকে বিএনপি ও জামায়াতের নৈরাজ্যর প্রতিবাদে নগরীর রামঘাট দলীয় কার্যালয় থেকে একটি শান্তি মিছিল বের করে কুমিল্লা মহানগর যুবলীগ। সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের অনুসারী মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লা আল মাহমুদ সহিদ এতে নেতৃত্ব দেন।
ঐক্য পরিষদের সভায় বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ তাপস বকসী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিকাশ চন্দ্র সাহা, যুব ঐক্য পরিষদের মহানগর শাখার সভাপতি শ্যামল কুণ্ডু, বাংলাদেশ ছাত্র ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা মহানগর শাখার সভাপতি অর্ণব সিংহ রায় প্রমুখ।
অপর দিকে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লা আল মাহমুদ সহিদ ও যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর আল আমিন সাদীর নেতৃত্বে শান্তি মিছিলটি রানীর বাজার সড়কে এলে পুলিশ তাদের ফরিদা বিদ্যায়তন স্কুলের সামনে থামিয়ে দেয়। পরে দুপক্ষের স্লোগানের একপর্যায়ে যুবলীগের মিছিল থেকে ঐক্য পরিষদের মিছিলের লোকদের ধাওয়া দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ তাপস বকসী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষ করে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে কান্দিরপাড় এলাকার দিকে রওনা দিলে পুলিশ কর ভবনের সামনে আমাদের থামিয়ে দেয়। পরে আমরা সেখানে সমাবেশ শেষ করে রওনা দিব তখন আমাদের অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে। এ সময় আমাদের আট-নয়জন আহত হয়েছে। আমরা প্রাণ ভয়ে বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিই।’
এ বিষয়ে কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি ও জেলা প্রশাসক ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আহতদের খোঁজখবর নিয়েছি। ঘটনার সময় পুলিশ মধ্যস্থান থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনায় বড় কিছু হয়নি। আমরা এ বিষয়ে আইনগত যা করার প্রয়োজন ব্যবস্থা নেব।’