উপজেলা নির্বাচনে ভিন্নমতের ভোটারদের কেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ভাই।
গতকাল বুধবার বসুরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে নিজের পছন্দের প্রার্থীদের সমর্থনে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। পরে তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক) ভাইরাল হয়।
ভিডিওতে আবদুল কাদের মির্জাকে বলতে শোনা যায়, ‘জামাত-বিএনপির ভাইয়েরা, আমনেরা (আপনারা) আওয়ামী লীগ মানেন না, সরকার মানেন না। নির্বাচন কমিশন মানেন না। আমনেরা ভোট মানেন না। আমনেরা কেন্দ্রেটেন্দ্রে (ভোটকেন্দ্র) যাইয়েন (যাবেন) না। হিডাহুডা (মারধর) খাইয়েন না। ভোট ২৯ তারিখ শেষ অই যাইব, হিয়ার হরে (পরে) চিহ্নিত করা অইব (হবে), যারা কেন্দ্রে যাই উল্টা ভোট মাইরব (ভোট দেবেন), তাদের চিহ্নিত করা অইব।’
এ সময় কাদের মির্জার অনুসারী চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল (আনারস), ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন বাবর (চশমা) ও পারভীন মুরাদ (ফুটবল) উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে তাঁর এ বক্তব্যকে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ও ফৌজদারি অপরাধ বলেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন সবার জন্য। কোনো নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর জন্য নির্বাচন নয়।’
মিজানুর রহমান বলেন, ‘কোম্পানীগঞ্জের ভোট নিয়ে তিনি (কাদের মির্জা) ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভোটারদের হুমকি দিয়ে যে ধরনের বক্তব্য রাখছেন, সেটি সুস্পষ্টভাবে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন এবং ফৌজদারি অপরাধ। বিতর্কিত এসব বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখন সবার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। আমি আশা করব, রিটার্নিং কর্মকর্তা কিংবা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এসব বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জামাত-বিএনপির ভোটারদের কেন্দ্রে না আসতে বলা কাদের মির্জার বক্তব্যের বিষয়টি আমার নজরে আসেনি। এ বিষয়ে আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে বিষয়টির খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’