বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলাসংলগ্ন বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে আন্তর্জাতিক পিলার নম্বর ৪-এর ওপারে মিয়ানমার অংশে ফের গোলাগুলির শব্দ শোনা গেছে। আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।
এর আগে গতকাল শনিবার নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের চেরারমাঠ থেকে ১৫ ও দোছড়ি ইউনিয়নের বাহিরমাঠ এলাকা থেকে অন্যত্র সরে আসা পাঁচ পরিবারসহ ২০ পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। আজ সকাল থেকে নিজ বাড়িঘরে ফিরতে শুরু করেছে তারা।
স্থানীয়রা জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির শব্দ এপার থেকে শোনা যায়। তবে দুপুর ১২টার পর থেকে আর শব্দ শোনা যাচ্ছে না।
সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল আবছার ইমন বলেন, সীমান্তের ওপারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের চাকঢালা-চেরার মাঠ এলাকার বাসিন্দারা প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শুনেছে। সীমান্তের ওপারে গোলাগুলির ঘটনায় এপারের মানুষজনের ঝুঁকি এড়াতে নিরাপদ স্থানে সরে আসার জন্য বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিবির) পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
দোছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইমরান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।
নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুরুল আবছার ইমন বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যেকোনো সময় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লোকজনকে সরিয়ে নিতে ইউপি মেম্বার ও গ্রামপুলিশ (চৌকিদার) প্রস্তুত রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে শুরু হয়ে রাত ৮টা পর্যন্ত সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) সঙ্গে সে দেশের গেরিলা গ্রুপ আরাকান আর্মির মধ্যে এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সন্ধ্যার পর গোলাগুলি থামলেও আজ সকাল ১০টা থেকে আবারও গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়।