নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) বিদ্যুৎ উপবিভাগের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশের অফিসে অভিযান চালায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার নগরীর আমবাগান চসিকের প্রধান কার্যালয়ে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম দুদক কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক মো. এনামুল হক।
অভিযানে দুদক কর্মকর্তারা প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশের কক্ষে (৪১৬ নম্বর) বিভিন্ন নথিপত্র যাচাই করেন। তাঁকে নিয়ে দুদক কর্মকর্তারা নির্বাহী প্রকৌশলী তাসমিয়া তাহসিনের কক্ষে (৩০৩ নম্বর) যান। পরে প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলামের কক্ষেও ফাইলপত্র খতিয়ে দেখেন তারা।
এ বিষয়ে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জাইকার একটি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে দুদকের টিম এসেছিল। এটা দুদকের রুটিন কাজ। আজকে চসিকে কালকে হয়তো অন্য কোনো অফিসে দুদকের টিম যাবে।’
তথ্য মতে, নগরীর রহমতগঞ্জে জায়গার মালিকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে আবাসন প্রতিষ্ঠান স্কাই প্রপার্টিজের নামে একটি বহুতল ভবনের নির্মাণকাজ শেষ করেন এ প্রকৌশলী। তবে চুক্তি অনুযায়ী ভবন মালিকদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো টাকা আত্মসাৎ করেছেন ঝুলন কুমার দাশ। এ নিয়ে গত ১৪ জুন দুদকে অভিযোগ দেন নাছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। ওই অভিযোগের তদন্তে নামে দুদক টিম।
এ ছাড়া ঝুলন কুমার দাশের বিরুদ্ধে জাইকার এলইডি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল শুরু থেকেই। প্রকল্পটির বৈদ্যুতিক পোল স্থাপনে ঠিকাদারের যোগসাজশে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। একটি বৈদ্যুতিক পোলে উচ্চতা কমিয়ে ২০ লাখ টাকা পকেটে ভরার অভিযোগও রয়েছে এই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে। এই সংক্রান্ত চসিকের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে জাইকা এলইডি প্রকল্পে মানহীন ক্যাবল ব্যবহারের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল।
এই বিষয়ে জানতে প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশের মোবাইল ফোনে কল করে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
দুদকের সহকারী পরিচালক এনামুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ‘২০১৯ সালে জাইকা কর্তৃক লাইটিং এবং বৈদ্যুতিক পোলের একটি প্রজেক্ট ছিল। এটা নিয়ে দুদকে একটি অভিযোগ ছিল। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজকে দুদক চট্টগ্রাম–১ থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। আমরা দেখেছি, ২০১৯ সালে পাঁচটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছিল।’