চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে ভোট না দেওয়ায় প্রায় ২০০ পরিবারের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র বাঁশের সাঁকোটি ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে পরাজিত মেম্বার (ইউপি সদস্য) প্রার্থী মো. কামরুজ্জামান মোল্লার বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার বাকিলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ‘মোরগ’ প্রতীকের ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিলেন।
গতকাল মঙ্গলবার ওই ইউনিয়নের রাধাসার গ্রামের মৃধা সংলগ্ন মাঠে স্থানীয় এলাকাবাসীর মধ্যে এ নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। তারা এ ঘটনায় জড়িত পরাজিত মেম্বার প্রার্থীর এমন কাণ্ডে হতবাক।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত রোববার হাজীগঞ্জের ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বাকিলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচনে মেম্বার (ইউপি সদস্য) পদে কামরুজ্জামান মোল্লা ‘মোরগ’, রবিউল আলম অরুন ‘ফুটবল’ ও শাহাদাত পাঠান ‘টিউবওয়েল’ প্রতীক নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
এর মধ্যে রবিউল আলম অরুন নির্বাচিত এবং কামরুজ্জামান মোল্লা ও শাহাদাত পাঠান পরাজিত হন। এতে করে তিনি মৃধা বাড়ির ভোটারদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চার বাড়ির চলাচলের একমাত্র সাঁকোটি ভেঙে দেয়।
এ বিষয়ে মৃধা বাড়ীর আনোয়ার হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, শাহাদাত হোসেন, সফিকুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালে পরাজিত মেম্বার প্রার্থী কামরুজ্জামান মোল্লা সাঁকোটি ভেঙে দেন। যার ফলে রাধাসার গ্রামের তফাদার বাড়ি, মৃধা বাড়ি, মোল্লা বাড়ি ও পাটওয়ারী বাড়িসহ ২০০ পরিবারের চলাচলের পথ বন্ধ হয়ে যায়। এ পথ দিয়ে পার্শ্ববর্তী বাখরপাড়া গ্রামের লোকজনও চলাচল করে বলে জানান তাঁরা।
এ বিষয়ে ভোটে অভিযুক্ত মেম্বার প্রার্থী কামরুজ্জামান মোল্লা বলেন, ‘নির্বাচনে হেরে নয়, আমাদের সম্পত্তির ওপর দিয়ে বাঁশের সাঁকোটি করা হয়েছে তাই সাঁকোটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে।’