টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ভেসে গিয়ে কক্সবাজারের রামু উপজেলায় দুই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া শিশুসহ দুজন নিখোঁজ রয়েছেন।
প্রবল বর্ষণে মাতামুহুরী ও বাঁকখালী নদী এবং খালের পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার রামু, সদর, ঈদগাঁও, চকরিয়া, পেকুয়ায় পাহাড়ি ঢলে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে অন্তত দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার আঞ্চলিক ও গ্রামীণ সড়ক ডুবে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। অধিকাংশ বাজারের দোকানপাট পানিতে তলিয়ে গেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্যার পানিতে ভেসে যাওয়া চারজনের মধ্যে দুজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন— রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব জুমছড়ি এলাকার ছৈয়দ হোসেনের ছেলে আমজাদ হোসেন (২২) এবং ঈদগড় ইউনিয়নের বৈদ্য পাড়া এলাকার মৃত লইগ্যা রাখাইন এর ছেলে চচিং রাখাইন (৫৫)।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন গর্জনিয়া ইউনিয়নের ছালেহ আহমদের ছেলে রবিউল আলম (৩৫) এবং ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের লম্বরিপাড়া এলাকার নুরুল কবিরের ছেলে মো. জুনাইদ (১০)।
রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু তাহের দেওয়ান মৃত্যু ও নিখোঁজের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসন থেকে ১০ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া চিড়া, গুড়, স্যালাইনসহ শুকনো খাবার মজুত রয়েছে।
কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান জানান, আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ২৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।